গাজীপুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৫৫ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক যুবককে চুরির অপবাদ দিয়ে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ছেলেকে বাঁচাতে না পেরে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন বাবা।

নিহত ওই যুবক, শ্রীপুর  উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে রানা মিয়া (৩০)।  সে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করতো।

শনিবার ভোররাতে আটক করে চুরির অপবাদ দিয়ে আটকে রেখে তাকে মারধর করে। পরে স্বজনরা স্থানীয়দের সহায়তায় যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্তরা হলেন, স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মো. শিপন মিয়া (২৫), আকাশ মিয়া (২২), উজ্বল মিয়া (২৫) ও আবুল কাশেমের ছেলে ইমন (২৬)। 

স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিপন ভাঙারি ব্যবসা করে। এলাকা থেকে ভাঙারি মালামাল সংগ্রহ করতে ব্যবহার করা হতো ১৫টি ভ্যান গাড়ি। সম্প্রতি বিভিন্ন সময় শিপনের পাঁচটি ভ্যানগাড়ি চুরি হয়। শনিবার ভোররাত তিনটার দিকে তাকে ভ্যানগাড়ি চুরির অভিযোগ এনে আটকে রাখে শিপন। 

পরে রাত থেকে দিনভর মারধর ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মারধরে তিনটি ভ্যানগাড়ি চুরির কথা স্বীকার করে রানা। পরে স্থানীয়রা রানাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন৷ স্থানীয়দের অনুরোধ উপেক্ষা করে সবার সামনেই মারধর করে অভিযুক্তরা। পরে তার কাছ থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়।

নিহতের বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, তাদের হাত থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। পরে তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী শিপনের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে হত্যামামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।  

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এসএম)