সরকারি ঘর দেয়ার আশ্বাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৫৯ | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৫৫

‘আমি গরিব মানুষ। খুব কষ্টে ৫০ হাজার টাকা নায়েবেরে দেই। ওই সময় আরও ৫০ হাজার টাকা সে চায়। এরপর আমার মোবাইল নাম্বার নিয়ে রাত-বিরাতে মাঝেমধ্যেই ফোন করে। ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ফোন করে আমার ঘরে আসে, এরপর জোর করে আমার ইজ্জত নষ্ট করে।’

কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের শ্রীবরদীর প্রধানমন্ত্রীর ঘরপ্রত্যাশী এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর অভিযোগ খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার (নায়েব) হরমুজ আলী তাকে ধর্ষণ করেন।

ওই গৃহবধূ আরো জানান, ঘটনার পর চিৎকারে অন্য ঘরে থাকা তার বাবা-মা বের হয়ে আসে। এ সময় নায়েব দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ায় সময় তার ব্যবহৃত জুতা, কলম ও মোটরসাইকেল রেখেই পালিয়ে যায়।

স্থানীয় কৃষক মুক্তার মিয়া বলেন, আমি বাজার থেকে আসছিলাম। হঠাৎ বহু লোকের হইচই শুনে ওই দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় নায়েব আমার সামান দিয়ে যাচ্ছিল। মানুষ আমাকে ধরতে বলছে আমি নায়েবকে জাপটে ধরি। পরে আমাকে থাপ্পড় দিয়ে সে পালিয়ে যায়। পরে শুনি ওই মেয়ের ঘরে ঢুকে নায়েব ইজ্জত নষ্ট করেছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনার পর নায়েবের নিকটাত্মীয়রা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে যোগাযোগ শুরু করে। একাধিকবার বৈঠক করে মীমাংসার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে ডাকাও হয়।

অভিযোগ উঠেছে, একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। পরে বিষয়টি থানায় জানানোর পর পুলিশ ভুক্তভোগী পরিবারকে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।

খড়িয়া কাজিরচর ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর কাছ যে সকল কথাবার্তা শুনেছি এবং তিনি যেসকল কল রেকর্ড শুনিয়েছেন তাতে ঘটনাটি সত্যি বলে মনে হয়েছে।

অভিযুক্ত খড়িয়া কাজিরচর ভূমি অফিসে নায়েব হরমুজ আলী সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন।

শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে আইনগত সহায়তা দিতে চাইলেও তিনি কোন মামলা করেননি। শুধু তাই না ধর্ষণের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :