ভোমরা স্থলবন্দরে সড়ক নির্মাণে ধীর গতি, ঘটছে দুর্ঘটনা, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দরের সড়ক নির্মাণে ধীর গতির কারণে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। প্রায়ই ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার মালামাল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা বন্দর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।
যদিও সাতক্ষীরা সড়ক জনপদ বিভাগ জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতার কারণেই নির্মাণকাজ দ্রুত করা যাচ্ছে না।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২২ কোটি ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫৩ টাকা ব্যয়ে ভোমরা পোর্টের ১.০৪৫ কি.মি সড়ক ঢালাই করে নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রদান করে সড়ক বিভাগ।
কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাছুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড। গত ২২ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার কথা আগামী ১৯ অক্টোবর ২২।
এ সড়কে চলাচলকারী ভুক্তভোগীরা জানান, প্রায় ৬ মাস ধরে সড়ক নির্মাণের জন্য খুঁড়ে রাখায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ট্রাক চালকসহ এলাকার সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে এখন বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সড়ক খুঁড়ে রাখায় সৃষ্ট খানা-খন্দে পড়ে যখন-তখন ট্রাক উল্টে যায় এবং ট্রাকমালিকসহ ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতির মুখে পড়েন।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। কিন্তু এ বন্দরে তীব্র যানজট আর সড়কে চরম ভোগান্তির কারণে কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানি কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে মালামাল পরিবহন করা কমিয়ে দিয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী ইতোমধ্যে বন্দর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
তিনি বলেন, যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে সড়কনির্মাণে ধীর গতি। ৫ মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাছুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড একটি লেনও শেষ করতে পারেনি। ফলে দুর্ঘটনা লেগেই আছে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খান বলেন, ভোমরা বন্দরের বর্তমান প্রধান সমস্যা হচ্ছে সড়ক। ১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে সড়ক বিভাগ অনেক সময় লাগাচ্ছে।বর্ষা মৌসুমে একটি ট্রাক উল্টে গেলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত একজন ব্যবসায়ী। তিনি যথাসময়ে কাজটি শেষ করার জন্য সাতক্ষীরা সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হামিদুর রহমান বলেন, বন্দরের ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতার কারনেই কাজ দ্রুত করা যাচ্ছে না। সারাদিনই যানজট লেগে থাকে। ফলে রাতে রাতে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হলে অক্টোবরের মধ্যেই মূল সড়কের কাজ শেষ করা যাবে।
(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/আইকে/এআর)