রহস্যমোড়া রহিমা বেগম নিখোঁজের ২৯ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১২

নানা নাটকীয়তা শেষে নিখোঁজের ২৯ দিন পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে খুলনা পুলিশের একটি দল। মাকে ফিরে পেতে খুলনায় পোষ্টারিং, সংবাদ সম্মেলন, মানবন্ধনসহ নানান কর্মসূচী পালন করে রহিমা বেগমের সন্তানেরা।

এসব কিছুকে ছাপিয়ে আলোচনায় আসে ময়মনসিংহে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত এক নারীর লাশের খবর। খবরটি জেনেই সেই মৃতদেহকে নিজের মা বলে দাবি করেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান। মায়ের লাশ কি না তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই পুলিশ জীবিত উদ্ধার করে রহিমা বেগমকে। রহিমা বেগমের নিখোঁজের খবরটি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠে রহিমা বেগমকে উদ্ধারের জন্য।

যেভাবে ফরিদপুর যান রহিমা বেগম

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে রহিমা বেগমের আশ্রয় নেওয়া বাড়ির মালিক কুদ্দুস মোল্লা বেশ কয়েক বছর আগে খুলনার সোনালী জুট মিলে চাকরি করতেন। তখন রহিমা বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পরে তিনি বোয়ালমারীতের চলে যান। বেশ আগে রহিমা বেগমের এক ছেলে একবার কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ওই বাড়ির লোকজন প্রথমে রহিমা বেগমকে তাঁরা চিনতে পারেননি। পরে চিনতে পারলে সাবেক বাড়িওয়ালা হিসেবে তাঁরা সেবাযত্ন করেছেন।

কুদ্দুস মোল্লার পরিবারকে তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে থাকার পর ১৭ সেপ্টেম্বর বোয়ালমারীতে কুদ্দুসের বাড়িতে আসেন। তখন তাঁর একটি ব্যাগে দুই প্যাকেট বিস্কুট, কিছু কাগজপত্র ও পরনের কিছু কাপড়চোপড় ছিল।

আশ্রয় নেওয়া বাড়ির আশপাশের বাসিন্দাদের বক্তব্য

কুদ্দুস মোল্লার বাড়ির লোকজন ও আশপাশের বাসিন্দারা জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটা বা সাড়ে চারটার দিকে একটি বাসে করে রহিমা বেগম সৈয়দপুর বাসস্ট্যান্ড নামেন। তখন তাঁর হাতে একটি ব্যাগ ছিল। তিনি এসে ওই বাজারের মুদিদোকানদার ইউনুস বিশ্বাসের কাছে মোতালেব মুসল্লির (কুদ্দুস মোল্লার বাবা) বাড়ি কোথায় জানতে চান। তখন ইউনুস বিশ্বাস রহিমার পরিচয় জানতে চান। রহিমা বেগম বলেন, তিনি বরিশাল থেকে এসেছেন, তিনি কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী হীরার চাচাতো বোন। তখন ইউনুস এক শিশুকে সঙ্গে দিয়ে তাঁকে কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

কুদ্দুস মোল্লার জামাতা নূর মোহাম্মদ বলেন, রহিমা বেগম কেন এবং কী কারণে বাড়িতে এসেছেন, তা তিনি তাঁর শাশুড়ি হীরার কাছে জানতে চান। হীরা জানান, তাঁরা যখন খুলনা ছিলেন তখন রহিমার সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়। সেই সূত্রে তিনি বেড়াতে এসেছেন।

আশ্রয় নেওয়া বাড়িতে গিয়ে যা বলেছিলেন রহিমা

কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার সময়ে মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম ওই বাড়ির লোকজনকে বলেছিলেন, ছেলে-মেয়েদের ওপর রাগ করে তিনি ঘর ছেড়েছেন। তিনি আর বাড়ি ফিরতে চান না। প্রতিবেশিদের সঙ্গেও জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।

কুদ্দুস মোল্লার ভাগনে মোহাম্মদ জয়নাল বলেন, রহিমা তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি মৃত স্বামী মান্নানের কাছ থেকে দুই কাঠা জমি পেয়েছেন। তাঁর ছেলে–মেয়েরা এই জমি বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। ছেলে–মেয়েরা জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে চান। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। তিনি রাগ করে চলে এসেছেন।

আশ্রিত বাড়িতে যেমন ছিলেন রহিমা

কুদ্দুস মোল্লার মেয়ে সুমাইয়া বেগম জানান, বাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাপন করতেন রহিমা। নিয়মিত নামাজ পড়তেন এবং সবার সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। এ বাড়ির–ও বাড়িতে বেড়াতেও যেতেন। তবে তাঁর চোখের সমস্যা ছিল, চোখ দিয়ে পানি পড়ত। এ জন্য বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসক দেখানো হয়।

সুমাইয়া আরও জানান, জমি নিয়ে প্রতিবেশির সঙ্গে তাদের ঝামেলা চলছে বলে জানিয়েছিলেন রহিমা বেগম। এই ঝামেলার জন্য তাঁকে মারধর করা হয়। তাই তিনি বাড়ি থেকে চলে এসেছেন। যদিও তাঁর শরীরে মারপিট করার কোনো আঘাত পাওয়া যায়নি। তবে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন।

মরিয়ম মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা

রহিমা বেগমের আশ্রয় নেওয়া বাড়ির মালিক কুদ্দুস মোল্লার ভাগনে মোহাম্মদ জয়নাল জানান, গত শুক্রবার ফেসবুকে রহিমা বেগমের ছবি দেখতে পান। ওই ছবিটি দেখানো হলে রহিমা বেগম ছবিটা নিজের বলে শনাক্ত করেন। এরপর তিনি লোকজনকে বলেন, তাঁর ছেলেমেয়ে তাঁকে কেউ পছন্দ করে না। তিনি বাড়িতে ফিরে যাবেন না। তিনি বাড়ি গেলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে।

এ ঘটনা জানার পর কুদ্দুসের ছেলে আল আমিন ফেসবুকে রহিমার মেয়ে মরিয়ম মান্নানের ফেসবুক আইডিতে এ বিষয়ে কমেন্ট করেছিলেন। কিন্তু মরিয়ম মান্নান কোনো উত্তর দেননি। এছাড়া ফেসবুক থেকে তিনি রহিমা বেগমের ছেলে মিজানের নম্বর পেয়েছিলেন। সেই নম্বরে ফোন দেওয়ার পর ফোনটি এক নারী ধরেন। ওই নারী বলেন, ‘এই নম্বরে আর ফোন দেবেন না।’ একথা বলে তিনি ফোনকলটি কেটে দেন। এরপর রহিমা বেগমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা হয়নি।

বোয়ালমারীতে জন্ম নিবন্ধনের চেষ্টা

বোয়ালমারীতে জন্ম নিবন্ধনের চেষ্টা করেছিলেন রহিমা বেগম। গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে সদর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তিনি জন্ম নিবন্ধনের চেষ্টা করেন। সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক জানান, রহিমা বেগম আমার অফিসে এসেছিলেন জন্ম নিবন্ধন করার জন্য। তাকে না চিনতে পেরে ইউপি সদস্যের কাছে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রহিমা আর পরিষদে আসেননি।

যেভাবে সন্ধান পেল পুলিশ

গত শুক্রবার রহিমা বেগমের ছবি দেখার পর শনিবার সকালে স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোশারফ মোল্লাকে বিষয়টি জানান কুদ্দুসের ভাগনে জয়নাল ও জামাতা নূর মোহাম্মদ। মোশারফ মোল্লা খুলনা সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলের সহযোগিতায় বিষয়টি খুলনা পুলিশকে জানান। মোশারফ মোল্লার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ নিশ্চিত হয় রহিমা বেগম সৈয়দপুর গ্রামে আছেন। পুলিশ রহিমা বেগমকে নজরে রাখতে বলেন। পুলিশ জানায়, যেকোনো মুহূর্তে তারা সৈয়দপুর আসবে।

জয়নাল বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউপি সদস্য মোশারফ তাঁকে ফোন করে বলেন খুলনা থেকে লোকজন এসেছে। এরপর খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রহমানের সঙ্গে একজন নারী পুলিশ পুলিশ সদস্যসহ চার–পাঁচজন কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে প্রবেশ করেন। এডিসি আবদুর রহমান গিয়ে রহিমা বেগমের সামনে দাঁড়ান।

আবদুর রহমান তাঁকে বলেন, ‘আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কি না, আমি আবদুর রহমান’। এসময় রহিমা বেগমকে আরও কিছু প্রশ্ন করেন তিনি। তবে কোনো প্রশ্নের উত্তরই রহিমা বেগম দেননি। পুলিশ আসার আগে রহিমা বেগম বাড়ির সবার সঙ্গে গল্প করছিলেন। পুলিশ দেখে তিনি চুপ হয়ে যান।

মরিয়মের মা প্রসঙ্গে যা বলল পিবিআই

পিবিআই জানায়, রহিমা বেগমকে উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে সাদা রঙের একটি শপিং ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে ছিল ওড়না, হিজাব, আয়না, শাড়ি, আইড্রপ, ওষুধ ছিল। তাঁর পরিধেয় সালোয়ার কামিজ ছিল, সঙ্গে ছোট একটি অর্নামেন্টাল পার্টস ছিল। স্বাভাবিকভাবে একজনকে অপহরণ করে নিয়ে গেলে এই জিনিসগুলো থাকার কথা নয়। তবে আপাতদৃষ্টিতে এটা অপহরণ নাও হতে পারে।

পিবিআইয়ের কাছে যা বললেন রহিমা

২৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর অপহৃত হয়েছিলেন বলে খুলনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে দাবি করেছেন রহিমা বেগম। পিবিআইকে তিনি জানান, ‘২৭ আগস্ট রাতে পানি নেওয়ার জন্য নেমে অপহৃত হন। চার জন মিলে তাকে জাপটে ধরে নাকে রুমাল ধরে। এরপর থেকে তার কিছুই মনে নেই।’

রহিমা বেগম পিবিআইবে জানিয়েছেন, অপহৃত হওয়ার কিছু দিন পর তার হাতে ১ হাজার টাকা দিয়ে তাকে মুকসুদপুরের বাসে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে পরিচিতদের কাছে কয়েকদিন কাটান। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার সৈয়দপুরে কুদ্দুসের বাড়িতে ওঠেন। সেখানেই তিনি অবস্থান করছিলেন।

রহিমা বেগম পিবিআইকে আরও বলেছেন, অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে সাদা (খালি) স্ট্যাম্পে কিছু স্বাক্ষর নেন। স্বাক্ষর নেওয়ার পর তাঁকে একটা নির্জন জায়গায় ছেড়ে দেন। কিন্তু জায়গাটা কোথায় সেটা তিনি বুঝতে পারেননি। এরপর তিনি মনি নামের একটি মেয়ের বাড়িতে ছিলেন। তবে সেই মেয়ের বাড়ি কোথায় তিনি বলতে পারছেন না। এরপর ওই মেয়ে তাঁকে এক হাজার টাকা সংগ্রহ করে দেন। পরে তিনি মুকসুদপুরে চলে আসেন। খুলনায় না গিয়ে ফরিদপুরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে রহিমা বেগম পুলিশকে জানান, খুলনায় আসতে ভয় পেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি যাওয়ার পর মেয়েদের খবর দেবেন। এরপর মেয়েদের সঙ্গে চলে যাবেন।

বাদীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

রহিমা বেগম নিখোঁজের ঘটনায় তার মেয়ে আদুরী আক্তার থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ ও জুয়েল এবং হেলাল শরীফ। রহিমা বেগম জীবিত উদ্ধার হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবারের দাবি, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে আত্মগোপন করেছিলেন রহিমা।

খুঁজে পাওয়া রহিমা বেগম ও তাঁর মেয়েদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মামলায় গ্রেপ্তার হেলাল শরীফের স্ত্রী মনিরা আক্তার। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন তাঁরা। পুরো বিষয়টি একটি সাজানো নাটক দাবি করে একই মামলায় গ্রেপ্তার মহিউদ্দিন ও গোলাম কিবরিয়ার বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, রহিমা বেগমের সন্তানেরা পুলিশ ও সাংবাদিকদের মিথ্যা কথা বলে প্রায় এক মাস বিভ্রান্ত করেছেন। আমাদেরকে হয়রানি করার বিচার চাই।

ছয় সন্তানের জননী রহিমা বেগম নিখোঁজ হওয়ার রাতে তার মৃত প্রথম স্বামীর বাড়িতে দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদারকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। নিখোঁজ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর তার ছেলে সাদি বাদী হয়ে দৌলতপুর থানার একটি জিডি করেন এবং পরদিন নিখোঁজ রহিমা বেগমের কনিষ্ঠ কন্যা আদুরী আক্তার অজ্ঞাতদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার এজাহারে জমিজমা নিয়ে বিরোধের কথা বলে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়।

নিখোঁজের পর রহিমা বেগমের মেয়ে ঢাকা তেজগাঁও কলেজের ছাত্রী মরিয়ম মান্নান খুলনা ও ঢাকায় একাধিক সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ নানাবিধ কর্মসূচি পালন করেন, যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হয়। এ মামলায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়। পরে পুলিশ রহিমা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদারকেও গ্রেপ্তার করে হোফাজতে আনে। প্রথম থেকেই মামলাটি দৌলতপুর থানা পুলিশ এবং র্যা ব তদন্ত করছিল। এই তদন্ত পছন্দ না হওয়ায় বাদীপক্ষের আবেদনে মামলার তদন্ত পিবিআই খুলনাকে দেওয়া হয়। পিবিআই আত্মগোপনকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করলে বাদী নাখোশ হন।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে মরিয়াম মান্নান তার মা রহিমা বেগমের লাশ পেয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন এবং ময়মনসিংহের ফুলপুরে অজ্ঞাতপরিচয় যুবতির লাশের ছবি দেখে সেটি তার মা বলে দাবি করেন।

শুক্রবার ময়মনসিংহে গিয়ে পরিবারের পক্ষ হতে দাবি করা হয় ওই ৩২/৩৩ বছরের লাশটি তাদের মায়ের। এ দাবি নিষ্পত্তির জন্য গতকাল রবিবার ডিএনএ টেস্ট করার জন্য ময়মনসিংহ পুলিশের আদালতে আবেদন করার কথা ছিল। কিন্তু নিখোঁজ রহিমা বেগম জীবিত উদ্ধার হওয়ায় তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানের (ডিএনএ) আবেদন আদালতে করা হবে না বলে জানান ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এনএস/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :