বিতর্কের মুখে সরানো হলো ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-র তিনটি পর্ব

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৩৩ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৪৭

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কয়েক দিন তুমুল বিতর্কের পর অবশেষে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হলো ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের সেই পর্বগুলো। নাটকের চতুর্থ সিজনের সম্প্রতি প্রচারিত তিনটি পর্বের সংলাপ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তারই জেরে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেল থেকে নাটকটির চতুর্থ সিজনের ৭৪, ৭৫ ও ৭৬ তম পর্ব সরানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতিও দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ফোর-এর সম্প্রতি প্রচারিত পর্বের কিছু সংলাপ নিয়ে সম্মানিত দর্শকবৃন্দ আপত্তি জানিয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সম্মানিত দর্শকদের প্রতি সম্মান রেখে আমরা ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ফোর-এর প্রচারিত আপত্তিকর পর্বগুলো আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ডিলিট করে দিয়েছি। ’

বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, ‘ভবিষ্যতে আমরা নাটক প্রচারের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হবো। যেন আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতির উপর কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে। দর্শকদের ভালোবাসাই আমাদের একান্ত চাওয়া। এই ভালোবাসা নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে বলা একটি সংলাপ। ওই সংলাপে সহশিল্পীকে ‘যৌনকর্মীর ছেলে’ বলে একাধিক বার গালি দিতে শোনা যায়। নাটকে অবশ্য তার প্রতিবাদ করে সহশিল্পী। পাশাপাশি সেখানে ‘সহবাস’ কথাটি ব্যবহার করা হয়। সংলাপ দুটির কড়া সমালোচনা করেন অনেকে।

বিভিন্ন গ্রুপে চলে সমালোচনা। যার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন পাশা চরিত্রের অভিনেতা মারজুক রাসেল। দর্শক বলেন, ‘নাটকের কলাকুশলীরা নষ্টামির সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করছে এই নাটকের মাধ্যমে। এখনি এদের থামানো না গেলে এই ভাইরাস পুরো দেশ, পুরো সমাজে ছড়িয়ে পড়বে।’

সাইবার ৭১ এর সূত্র দিয়ে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে একাধিক পোস্ট করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের নতুন ট্রেন্ড এই ‘যৌনকর্মীর ছেলে’ গালি। এই নাটকের বেশিরভাগ দর্শক উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ে, তাই স্বভাবগতভাবেই জমজমাট এই গালির ব্যবহার এখন সর্বত্র এবং সর্বজন স্বীকৃত।

এর আগেও ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকটি ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। তবে সেসবে কান দেননি নাটকটির নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। আপত্তিকর গালির ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে নির্মাতা অমিকে একাধিক বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মারজুক রাসেলকে ফোন দিলে তিনি সাড়া দেননি।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এএইচ)