কোটি টাকা আত্মসাৎ

বিমানের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিমান বাংলাদেশের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার (লন্ডন স্টেশন) আখতার উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়াই লন্ডন অফিসের ইকুইপমেন্ট ও টেলিফোন বিল বাবদ এক কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রদানের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের আভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়, আখতার উদ্দিন আহমেদ বিমানের লন্ডন স্টেশনে কান্ট্রি ম্যানেজার থাকাকালীন ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সিটি অফিসের জন্য অফিস ইকুইপমেন্ট ও টেলিফোন সিস্টেমের জন্য ত্রৈমাসিক দুই হাজার ১২৫ পাউন্ড স্টারলিং ভাড়ার ভিত্তিতে তিনটি কোম্পানির সাথে লিজ চুক্তি ছিল, যার মেয়াদ ছিল ফেব্রুয়ারি ২০০১ পর্যন্ত। কিন্তু তিনি এবি সার্ভিসেস এর পক্ষে কেভিন লুইস এর মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিরাজমান সব চুক্তি অবসান করে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, বিমানের নিয়ম বহির্ভূত নতুন চুক্তিতে ত্রৈমাসিক ভাড়া  পূর্বে নির্ধারিত দুই হাজার ১২৫ পাউন্ডের স্থলে ১০ হাজার ৫০৬ পাউন্ড নির্ধারণ করেন। ব্যাংক হিসাব খাত থেকে সরাসরি ডেবিট পদ্ধতিতে ভাড়া পরিশোধের শর্ত অন্তর্ভুক্ত আগের চুক্তিতে না থাকলেও তিনি নতুন নিয়ম চালু করেন।
এছাড়া আক্তার উদ্দিন আহমেদ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন না নিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে কেবিন লুইস এর বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং উক্ত চুক্তির অধীনে ভাড়া প্রদান বন্ধ রাখেন। কিন্তু চুক্তিপত্রে আক্তার উদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষর থাকায় সব পক্ষের সম্মতিতে Centre for Dispute Resolutions এর মাধ্যমে প্রতি ত্রৈমাসিক সাত হাজার ১৫৬ ইউকে পাউন্ড ভাড়া পরিশোধ নিষ্পত্তি হয়।

এভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন বহির্ভূত চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে এপ্রিল ২০০৪ পর্যন্ত লিজ রেন্ট বাবদ বিমানকে ১ লাখ ২০ হাজার ৭৪৪ ইউকে পাউন্ড সমপরিমাণ ৯৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪০ টাকা টাকা পরিশোধ করে বিমানের আর্থিক ক্ষতি সাধন করা হয়। বিমানের বিপুল অঙ্কের এই আর্থিক ক্ষতি সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এসআর/ইএস)