কক্সবাজারে কাসুন্দির কাণ্ড: চাইলেন খাসির মাংস, খাওয়ালেন গরু

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:১২

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শনিবার রাত ৮টা। সমুদ্র শহর কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টের হোটেল কল্লোলের নিচের কাসুন্দি রেস্তোরাঁয় ঢুকলেন এক নারী পর্যটক। রাতের খাবার হিসেবে অর্ডার করলেন খাসির মাংস। অল্প কিছুক্ষণ পরেই টেবিলে মাংস চলে এলো। গল্পের ছলে সেই মাংস খেলেনও ওই নারী পর্যটক। কিন্তু বিলে গরুর মাংস লেখা দেখেই তার চোখ ছানাবড়া। করে দিলেন বমি। কারণ গরুর মাংস খাওয়া তার বিশ্বাসে নিষিদ্ধ। বিষয়টির তাৎক্ষণিক প্রতিবাদও  করলেন তিনি। তবে প্রতিবাদে কোন সুরাহা না হওয়ায় রবিবার দুপুরে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই নারী।

সেসময় রেস্তোরাঁয় থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শনিবার রাতে এক নারী খাসির মাংস চাইলে তাকে না জানিয়ে গরুর মাংস খাওয়ান কাসুন্দি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি জানতে পারে ওই নারী বমি করে দেন এবং গরুর মাংস খাওয়ানোর কারণ জানতে চান। কিন্তু সেসময়  রেস্তোরাঁয় দায়িত্বরতরা তাদের দোষ স্বীকার না করে উল্টো ওই নারী কর্মকর্তার সাথে রুঢ় ব্যবহার করেন। সেসময় ওই নারী পর্যটক বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করবে বললে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে ওই নারী সেখান থেকে চলে যান।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নারী কর্মকর্তা সিলেটে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত। এ বিষয়ে তিনি জানান, আমি ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসেছি। ওই রেস্তোরাঁয় বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের কাছে একটি সাধারন ডায়েরি (জিড়ি) করেছি।

তবে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ও কাসুন্দি রেস্তোরাঁর মালিক ইমরান হাসান বলেন, এটি একটি অনাকঙ্খিত ভুল। ওই ভুলের কারণে যে ছেলেটা খাবার দিয়েছে, তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ম্যানেজার ও রেস্তোরাঁয় পরিচালনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ওই পর্যটককে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা বলে হুমকি দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি অপপ্রচার। উল্টো আমার ম্যানেজার ও টেবিলবয় ওই পর্যটকের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ জিল্লুর রহমান বলেন, ওই নারী পর্যটক আমাদের কাছে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এলএ)