সাইফ পাওয়ারটেকের আরও তিন বিদেশি জাহাজ পরিচালনা

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:২২

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশে শিপিং ও লজিস্টিকস খাতে ব্যবসা শুরু করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাফিন ফিডার কোম্পানির সঙ্গে নতুন করে ৩টি জাহাজ পরিচালনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি।

সোমবার সাইফ পাওয়ারটেক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানায়, রবিবার তারা জাহাজ পরিচালনার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাফিন ফিডার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

সাফিন ফিডার হলো আরব আমিরাতভিত্তিক কনটেইনার ফিডার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, যার শতভাগ মালিকানা এডি পোর্টস গ্রুপ।

চুক্তির শর্তাবলির আওতায় সাফিন ফিডারস ও সাইফ পাওয়ারটেক ৩টি জাহাজের মাধ্যমে ১৫ বছরের মেয়াদে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক রুটে কার্গো সেবা দিবে।

সাফিন ফিডারে ৩টি কন্টিনার ফিডার ভেসেলের ধারণ ক্ষমতা ১৭০০ থেকে ২১০০ টিউস।

চুক্তি অনুযায়ী ১৫ বছরের জন্য বেয়ারবোর্ট এবং সাইফের টাইম চার্টারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্টেইনারগুলো বাংলাদেশে বহন করার জন্য এবং যেকোনো আন্তর্জাতিক রুটে এবং বিশ্বব্যাপী সংযুক্তের জন্য উপযুক্ত।

কোম্পানিটি আরও জানায়, প্রতি বছর কার্গো মালবাহী জাহাজ প্রতি ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আসবে। এছাড়া নেট মুনাফা ২৫ কোটি টাকা আসবে বলে কোম্পানিটি আশা করছে।

এই উদ্দেশ্যে সাইফ পাওয়ারটেক সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে সাইফ মেরিটাইম এলএলসি নামে একটি সহযোগী কোম্পানি চালু করেছে।

এরআগে চলতি বছরের মার্চে জাহাজের ব্যবসায় যুক্ত হতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি কোম্পানির সঙ্গে সাবসিডিয়ারির মাধ্যমে চুক্তি করে সাইফ পাওয়ারটেক। ত্রিপক্ষীয় এ চুক্তির আওতায় দুবাইয়ের ফুজিয়ারা পোর্ট থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ড্রাই বাল্ক কার্গোর মাধ্যমে পণ্য আমদানি করবে কোম্পানিটি।

এ চুক্তিতে সাইফ পাওয়ার ছাড়াও রয়েছে কোম্পানিটির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান সাইফ ইউনাইটেড শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং। সাইফ পাওয়ারের শতভাগ সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনের অধীনে দেশটিতে ইনকরপোরেটেড।

জানা গেছে, কোম্পানি তিনটির মধ্যে চুক্তির আওতায় সাফিন ফিডারসে আটটি বাল্ক ভ্যাসেলের মাধ্যমে ফুজিয়ারা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আনা-নেয়া করবে সাইফ পাওয়ারটেক। এর প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৫৫ হাজার ডিডব্লিউটি। এসব কার্গো জাহাজের মাধ্যমে ফুজিয়ারা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ক্লিংকারসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি-রফতানি করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জাহাজ ভাড়াসংক্রান্ত ১৫ বছরের এ চুক্তির আওতায় এককালীন অথবা প্রয়োজন অনুসারে ভাড়া নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে জাহাজের ম্যানেজমেন্ট, পরিচালনা, ক্রুসহ যাবতীয় বিষয় সাইফ পাওয়ারের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে। সাইফ পাওয়ারটেক বলছে, জাহাজ ব্যবসার এ খাত থেকে তাদের বার্ষিক আয় আসতে পারে প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা। আর নিট মুনাফা হতে পারে প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় ৫৮ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডেল করে সাইফ পাওয়ারটেক। কোম্পানিটি মোংলা ও পানগাঁও বন্দরেও কনটেইনার হ্যান্ডেল করে।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এসকেএস)