সিদ্ধিরগঞ্জে যৌন হয়রানির অভিযোগে ছাত্রীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:১৬

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সফুরা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে ওই স্কুলের ছাত্রীরা। এ বিক্ষোভ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে পরিকল্পিতভাবে করানো হয়েছে বলে দাবি প্রধান শিক্ষকের। 

সোমবার দুপুর বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিক্ষোভ করে শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি তুলে। খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

 সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ক্লার্ডের নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বিক্ষোভ করে রাস্তায় বের হতে চায়। তাদেরকে শান্ত করে বিদ্যালয়ে ভেতরে নিয়ে গেলে তারা মাঠে বিক্ষোভ করে। সেখানে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষক তাদের গালমন্দ করে ও শারীরিকভাবে হয়রানি করে। ক্লাস রুমে ছাত্রীরা পড়া না পারলে শরীরে হাত দিয়ে শিক্ষার্থীদের ছবি তুলে তাদের ভয় দেখায় ও মারধর করে। 

শিক্ষর্থীরা আরও জানান, অভিভাবকদের কাছে এ নিয়ে তারা একাধিক বার নালিশ করেছে। তারা অভিযোগ দেয়ায় শিক্ষক পরীক্ষায় বসতে না দেয়ার হুমকি দিয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। 

স্কুলের অভিভাবকরা জানান, মেয়েরা নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ে। প্রধান শিক্ষক স্কুলের কক্ষের মূল দরজা দিয়ে না গিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে যায়। শিক্ষক নানা অজুহাতে ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়। 

তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, স্কুলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। ছাত্রীরা যা বলছে সেগুলো তাদের কথা নয়। তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে শেখানো হয়েছে। ছাত্রীদের অভিযোগ মিথ্যা। এসব কথা লজ্জাজনক। আমাকে হেয় ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে এগুলো করা হচ্ছে।  কারা করছে এগুলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে জানানো হয়েছে।

 

বিদ্যালয়ে এ পরিস্থিতি জানতে পেরে সেখানে ছুটে যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেব। তিনি জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির কথা বলেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেব জানান, বিদ্যালয়ে দুজন ক্ষণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন তারা সম্প্রতি পদত্যাগ করে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেছে। তাদেরকে বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার দাবি শিক্ষার্থীদের। তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের। আমরা শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষকের উভয়ের কথা আমলে নিয়েছি।

শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, আমরা পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

( ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এআর)