‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা’ গ্রন্থ পথ দেখাবে নতুন প্রজন্মকে

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:০৭ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

‘তরুণ প্রজন্ম মনে করে, শেখ হাসিনা শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক, প্রধানমন্ত্রী? তিনি দেশের উন্নয়ন করছেন, দৃশ্যত এটা সঠিক। কিন্তু তিনি এই জায়গায় আসতে কত যে প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেছেন, কীভাবে এসেছেন, আমরা কি তা তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি? ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা’ বইটিতে এসব নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এধরনের বই আরও প্রকাশিত হওয়া দরকার।’

সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার রচিত, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে বাংলা জার্নাল। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বাংলা জার্নালের প্রকাশক হাবিবুর রহমান রোমেল বলেন, বইটির নামকরণের আগে লেখককে জিজ্ঞেস করেছিলাম বইটির নাম 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা' কেন রাখা হচ্ছে? তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন, তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সেই দিকেই নিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য বইটির এমন নামকরণ করেছেন।

তিনি বলেন, লেখক বইয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন, তার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীর মর্মান্তিক ইতিহাস ফুটিয়ে তুলেছেন। পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন- বইটি পাঠের মধ্যদিয়ে তরুণ প্রজন্ম এসব বিষয়ে জানতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সব গুণ ধারণ করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর মতো সহজ, সরল জীবনযাপন করেন। জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট, ভালোবাসা আছে। তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর মতো সততা, সাহসিকতা আছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের জীবনযাপনের সাথে শেখ হাসিনার জীবনযাপনে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। শেখ হাসিনা তা প্রমাণ করেছেন। তিনি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চান। মার্শাল ল’ করে ক্ষমতায় যাওয়া তার লক্ষ্য নয়। তিনি কখনও উচ্ছিষ্টদের মন্ত্রী, এমপি বানাননি।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বেশিরভাগ ছিলেন গ্রামের কৃষক। মুক্তিযুদ্ধে শহরের ছেলেদের সংখ্যা কম ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা জানত না মায়ের কাছে, পরিবারের কাছে ফিরতে পারবে কি না। তাদের একটাই সংকল্প, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করতে হবে, দেশ স্বাধীন করতে হবে।

তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়ার মতো অজপাড়াগাঁয়ে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসীম সাহসের অধিকারী। বাঙালির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা' বইটি লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, এক রাতের মধ্যে শেখ হাসিনা মা-বাবাসহ প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। এরপর সেই ঘাতকদের বুলেট তাকে ইউরোপেও তাড়া করেছে। তবুও তিনি থেমে থাকেননি। তিনি আজও বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করছেন, উজ্জীবিত করছেন।

আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, মেঘের ঘনঘটা দেখলে আমরা পালিয়ে বাঁচতে চাই, কিন্তু শেখ হাসিনা তা করেননি। এই ট্রমার মধ্যেও শেখ হাসিনা শোকে মুহ্যমান হয়ে যাননি। নিজের সন্তানের কথা চিন্তা না করে তিনি আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেছেন।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মতো কর্মকাণ্ড যাতে আর কোনোদিন না ঘটে, আমাদেরকে যাতে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দাঁড়াতে না হয়, সেই জন্য তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। দেশে ফিরেই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। যার কারণে আজ আমরা আধুনিক বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরও বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে যেভাবে চিনি আসলে তিনি কী এমন, না হলে কেমন। তরুণ প্রজন্ম মনে করে শেখ হাসিনা শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক, প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশের উন্নয়ন করছেন, দৃশ্যত এটা সঠিক। কিন্তু তিনি যে এই জায়গায় আসতে কত প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেছেন, কীভাবে এসেছেন, আমরা কি তা তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি?

'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা' বইটি লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ ধরনের বই আরও বের করতে হবে।

মেজর (অব.) এটিএম হামিদুল হোসেন তারেক বীরবিক্রম বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু, এটা পৃথিবী স্বীকৃত। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা জানি, বঙ্গবন্ধু কী ছিলেন? বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের ভেতর প্রোথিত এক নাম।

তিনি বলেন, ইতিহাস আর বই পড়ে আমি মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আর বই পড়ে আমি মুক্তিযুদ্ধের কথাও বলি না। যুদ্ধের মাঠে আমরা যা করেছি, আর যা দেখেছি- সেটাই বলছি। যুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান আর্মির ৮টা গুলি আমার শরীরে লেগেছে। এমন সময়ও ছিল মার খেতে খেতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। তবুও পিছপা হইনি। আমার জীবনের প্রাপ্তি, বঙ্গবন্ধু আমাকে স্পর্শ করেছেন। একবার এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু আমার হাত ধরে বললেন, এই দেখো! আমার সোনার ছেলে, ১৯ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করে বীর বিক্রম উপাধি পেয়েছে। এরাই তো আমার সোনার বাংলাদেশ গড়বে।

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা’ বই নিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, স্বপ্নের রূপকার এবং শেখ হাসিনা অর্থাৎ ৩টি বিষয় নিয়ে তথ্যবহুল বই এটি। তরুণ প্রজন্মের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

আক্ষেপ করে এই বীরবিক্রম বলেন, বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা হয়ে গেলাম ব্যানার। সব সরকার বলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। অথচ আমরা দেখি, কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়ে আসছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সমন্বয়ক এবং বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদের সভাপতি মেজর (অব.) আতমা হালিম বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করা হয়েছে। এরপরও দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা সতেজ থেকেছেন। আমাদের আত্মীয়-স্বজনকে যদি দোসররা এভাবে নিঃশেষ করে দিতো, আমরা কি সতেজ থাকতে পারতাম?

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজও পৃথিবীতে বেঁচে আছেন, দেশের হাল ধরেছেন। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক ড. এমএম মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা’ বইটি অনেক তথ্যবহুল। আমি আশা করি, বইটি তরুণ প্রজন্ম, পাঠক ও লেখকদের উপকারে আসবে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার যে স্বপ্ন, সেটা বইতে লেখক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আর পদ্মা সেতুসহ আমাদের যে সফলতা, সেটাও লেখক তথ্যবহুলভাবে তুলে এনেছেন।

মাজেদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তার পরিবার যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল, তারপরে শেখ হাসিনা যেভাবে একটি রাজনৈতিক দলের হাল ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, এই বইটি পড়লে নতুন প্রজন্ম তা খুব সুন্দরভাবে জানতে পারবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ নাজমুল আহসান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ল্যাবরেটরি স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল। সেইদিন আমাদের দায়িত্ব ছিল স্কুলে বঙ্গবন্ধুকে ফুল দিয়ে বরণ করার। কিন্তু আমাদেরও দুর্ভাগ্য আর জাতিরও দুর্ভাগ্য সেইদিন এখানে আসার আগে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ১৯৮২ সালে শেখ হাসিনা দেশে আসলে আমরা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে তাকে বরণ করলাম। এরপর তাকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগও আমার হয়েছে। কাজেই আমি বলতে পারি, শেখ হাসিনা ব্যতিক্রম একজন রাষ্ট্রনায়ক। তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্ট খুব ভালো করে উপলব্ধি করেন। আর সেই অনুযায়ী দেশের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ বিষয়গুলো ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা’ বইয়ে খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। শেখ হাসিনাকে নিয়ে এটি খুবই একটি সুন্দর প্রয়াস।

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে অবশ্যই পড়তে হবে। কারণ না পড়লে তরুণরা বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ থাকে।

আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি বলেন, একটি মানুষ যখন তার পরিবারের কাউকে হারান, তখন স্বাভাবিকভাবে সে মানসিকভাবে অস্থির হয়ে যান। কীভাবে কী করবেন সেই নিয়ে তার দিশেহারা অবস্থা হয়ে যায়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা যিনি ১ দিনে ১৮ জন আপনজনকে হারিয়েছেন। তবুও তিনি বুক ভরা দুঃখ-কষ্ট নিয়ে এদেশের মানুষের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ সার্বিক  উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর এখনও তা করেই যাচ্ছেন। এদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে টিকিয়ে রেখেছেন তিনি। কাজেই আমি মনে করি, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এমন একজন নেত্রীকে পেয়ে আমরা গর্বিত। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর তার জন্মদিন। এদিন উপলক্ষে আমরা তার দীর্ঘায়ুর জন্য দোয়া করি।

ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। কারণ তার অভিজ্ঞ নেতৃত্ব আরও বেশি প্রয়োজন। তিনি যে জাতিসংঘে বক্তব্য দিয়েছেন- বিশেষ করে ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে বলেছেন, এই দুটি দেশে যুদ্ধের কারণে এবং আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যে সুন্দর এবং সহজভাবে বলেছেন- এমন বক্তব্য আমি কখনও শুনিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশেও উন্নয়ন হচ্ছে। সেই বিষয়গুলো এই বইতে খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে।

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা' বইয়ের লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা ঋণী। তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আর এই ঋণ কিছুটা শোধ করতেই এই বই লেখার ক্ষুদ্র প্রয়াস।

এই বই লেখার পেছনে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার অনুভূতি কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি স্মৃতিচারণ করে মফিজুল হক সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতের ছোঁয়া আমার পিঠে আছে। আর বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে যে সকল গুণাবলী ছিল, সেই কারণে তখন সাড়ে ৭ কোটি মানুষ তাকে ভালোবাসতেন। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

বিবার্তা২৪ডটনেটের নিউজ এডিটর ও বাংলা জার্নালের প্রকাশক হাবিবুর রহমান রোমেলের সভাপতিত্বে এবং জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফএম শাহীনের সঞ্চালনায় গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিবার্তা২৪ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি, অ্যাসাইনমেন্ট অ্যান্ড লিটারেরি এডিটর সামিনা বিপাশাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার জন্মেছেন গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার ভবানীপুরে ১৯৫১ সালের ৬ মে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বুক চিতিয়ে অকুতোভয় লড়েছেন দেশের জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য। 'ইতিহাসের মহানায়ক শেখ মুজিব' বইটি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকারের প্রথম বই। এটি বঙ্গবন্ধুর জীবনীধর্মী বই, প্রকাশিত হয়েছে এপ্রিল ২০২২ সালে, প্রকাশক বাংলা জার্নাল। তার এবারের গ্রন্থ 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার শেখ হাসিনা’ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মবহুল ও সাফল্যমণ্ডিত জীবন নিয়ে রচিত যেখানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার হিসেবে চিত্রিত হয়েছে শেখ হাসিনার ছবি।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এলএ)