ঢাকা টাইমসকে স্বাস্থ্যের ডিজি

আতঙ্কিত হবেন না, ডেঙ্গু চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৫৩ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৫৮

রুদ্র রাসেল, ঢাকাটাইমস

ডেঙ্গু রোগের বিষয়ে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

সোমবার তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেছেন, ‘আতঙ্কিত ও উৎকন্ঠিত হবেন না। ডেঙ্গু চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে।’

সবধরণের ডেঙ্গু রোগীকে হাসপাতালে আনার দরকার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি শরীরে র‌্যাশ ওঠে তাহলে হাসপাতালে আনতে হবে। নইলে বাসায় বসেই চিকিৎসা নিতে পারবে। রোগীকে বেশি পরিমানে তরল খাবার খেতে হবে। যদি শরীরে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির বেশি হয়, সেক্ষেত্রে শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খেতে হবে রোগীকে।’

মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে আনার। তাদের চিকিৎসাটা দেখছি। আমরা ভেক্টর (মশার উৎসস্থল) আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করে দিয়েছি। কিন্ত ভেক্টর ক্লিনিংয়ের (ধ্বংস) দায়িত্ব তো আমাদের না। বড় কথা হলো আমাদের সেই সক্ষমতাও নেই। কিছুদিন আগেও আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি সচেতনতার জন্য।’

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় বিশেষায়িত বা বিশেষ কোন হাসপাতালকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে না জানিয়ে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘কোনো বিশেষ হাসাপাতাল করা যাবে না। কারন তখন ওই এককেন্দ্রিক হাসাপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাবে। আমরা বলতে চাই, সবধরনের ডেঙ্গু রোগীকে হাসাপাতালে আনার দরকার নেই। মানুষ এখন ভয়ে হাসাপাতালে আসছে। ফলে হাসপাতালের চাপ বাড়ছে। রোগী চলে আসলেও না করা যাচ্ছে না। আমরা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত হাসাপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যবস্থা রেখেছি। গ্রামে যদিও প্রকোপ কম। ঢাকাতেই ডেঙ্গুর হার আসলে বেশি।’

ডা. খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘আমি চাই আপনারা (গণমাধ্যম) বলেন, আতঙ্কিত হবার কারন নেই। যথাযথ সচেতনতা যেন সবাই গ্রহণ করে। লার্ভা ধ্বংস করা, মশারি টানানো ইত্যাদি। রোগীরা যেন বাড়িতে থেকে প্রাধমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে।’

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর)