বিমানের আরো চার সিবিএ নেতাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:১৪ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আরো চার কালেক্টিভ বার্গেনিং এজেন্ট (সিবিএ) নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেন। দুদকের উপপরিচালক মোনায়েম হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- বিমানের তৎকালীণ ফিন্যান্স সেক্রেটারি মো. আতিকুর রহমান, অফিস সেক্রেটারি মো. হারুনর রশিদ, পাবলিসিটি সেক্রেটারি আবদুল বারী লাভলু ও স্পোর্টস সেক্রেটারি মো. ফিরোজুল ইসলাম।

এর আগে বিমানের ছয় সিবিএ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। সোমবার দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাবাদ করা হয়েছে সিবিএ-এর সহ-সাধারণ সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, অরগানাইজিং সেক্রেটারি মো. রফিকুল আলম ও আবুল কালামকে। তবে সেদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও বিমানের সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মনতাসার রহমান হাজির হননি।

২৫ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় বিমানের তিন সিবিএ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটি। তারা হলেন- তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন ও মো. ইউনুস খান। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হওয়ার কথা থাকলে ওইদিন দুদকে হাজির হননি সাবেক সিবিএ সভাপতি ও বর্তমানে বিমানের কানাডা অফিসের কান্ট্রি ম্যানেজার মশিকুর রহমান।

দুদকের অুনসন্ধান ও তদন্ত-২ এর উপ-পরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন জানান, তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদেরকে যেসব কাগজপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছিল, তা তারা দাখিল করেছেন। এগুলো যাচাই বাছাই করা হবে।

এছাড়া আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়েছে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি মো. আবদুস সোবহান, উইমেন্স অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি আসমা খানম বানু, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি গোলাম কায়সার আহমেদ, সদস্য মো. আবদুল জব্বার ও মো. আবদুল আজিজকে। উল্লেখিত ব্যক্তিদের নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও আয়কর রিটার্ন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ দুদকে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের জন্য ২০১৪ সালে নোটিশ দেয় দুদক।

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে ওই ১৭ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চান। সে বিষয়ে ওইদিন শুনানি হয়। ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জারি করা এক রুলের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মো. মশিকুর রহমানসহ বিমানের ১৭ নেতার দুর্নীতি তদন্তে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের আদেশ দেন। তারও আগে বিমানের সাবেক এমডি মোসাদ্দিক আহম্মেদসহ বেশ কয়েকজন সিবিএ নেতার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছিল।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিমানের অনিয়ম অনুসন্ধানে ১৭ সিবিএ নেতাকে তলব করে চিঠি পাঠায় দুদক। সোমবার তিনজন ও মঙ্গলবার তিনজনসহ মোট ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। আগামী ২৭ ও ২৮ তারিখের মধ্যে আরো ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এসআর/ডিএম)