চবিতে ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় সাংবাদিককে ‘মারধর’

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:১৯ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:১৬

চবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
অভিযুক্ত আরশিল আজিম নিলয় ও শোয়েব আতিক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিন পালন করতে না যাওয়ায় সাংবাদিককে মারধর করেছে শাখা ছাত্রলীগের অনুসারীরা। এ সময় 'ছাত্রলীগ না করলে হলে থাকা যাবে না' বলেই এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় ওই সংবাদকর্মীকে।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলের ২১২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক রেদওয়ান আহমদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ঢাকা মেইল ও দৈনিক নয়া শতাব্দী পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের আরশিল আজিম নিলয়, একই সেশনের নাট্যকলা বিভাগের আবু বকর সিদ্দিক এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শোয়েব আতিক। তারা শাখা ছাত্রলীগের বিজয় উপগ্রুপের কর্মী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রেদওয়ান আহমদ বলেন, রাতে এক ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিন পালনের জন্য আমার রুমে এসে ডাক দেন ২০১৮-১৯ সেশনের আরশিল আজিম নিলয়। আমি যখন সাংবাদিক পরিচয় দিলাম, তারা আমাকে বললেন- ছাত্রলীগ না করলে হলে থাকা যাবে না। এরপর আরশিল আজিম নিলয় তার সঙ্গে থাকা শোয়েব আতিককে আমাকে মারধরের নির্দেশ দেন। শোয়েব আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করলে আমি সঙ্গে বিজয় গ্রুপের নেতা আল আমিন ভাইকে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। তিনি তাদের নিষেধ করার পরও আমাকে আরও দুই দফায় মারধর করেন। তবে আবু বকর ভাই শুধু ঘটনাস্থলে ছিলেন, তিনি আমাকে মারধর করেননি বা কিছু বলেননি। এ সময় ঘটনাস্থলে হল ছাত্রলীগের আরও দশ পনেরো জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বিজয় গ্রুপের নেতা আল আমিন বলেন, সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলা আমরা কখনোই সমর্থন করি না। ঘটনার সময় রেদ্ওয়ান আমাকে কল দিয়েছিল। আমি নিষেধ করার পরও তারা ওর গায়ে হাত তুলেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি৷

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেব না। কিছুদিন আগেও সাংবাদিকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের অনুসারীরা ঝামেলা করেছিল। আমরা অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রশাসন শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এবার অভিযুক্তদের বহিষ্কার না করলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসি। ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং নিয়মানুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এআর)