‘আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য মানুষ বিশ্বাস করে না: মোশাররফ

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৩৫ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

‘আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে’ বলে জাতিসংঘের বিবিসির সাংবাদিককে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন। বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ১৪ সালের আগে থেকে এখনো গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে।’

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার আ স ম হান্নান শাহের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

খন্দকার মোশারফ হোসেন, জাতিসংঘের বিবিসির সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছেন আগামী নির্বাচন কি সুষ্ঠু হবে? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু এ কথা বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। 

বিএনপির প্রবীণ এই নেতা বলেন, ২০১৪ সালে ১৫৪টি আসন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। একথা দেশি-বিদেশি সকলেই জানেন। তারপরও কিভাবে বলে দিলেন আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই এ দেশের গণতন্ত্রের সু-বাতাস বয়েছে। 

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ১৪ সালের আগে থেকে এখনো গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে আওয়ামী লীগ। সেই গায়ের জোরে সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; বাংলাদেশে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন গণতন্ত্রের বাতাস বয়েছে। 

তিনি বলেন, আসলে এটা সকলেই জানে, যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। যখনই আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন এদেশের অর্থনীতির লুটপাট হয়। গত ১৪ বছর কিভাবে তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে এটাও সকলে জানে। দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করে না।

তিনি আরো বলেন, যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। যারা দেশের মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। যারা দেশের অর্থনীতি লুটপাট করেছে। এরা যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ধ্বংস স্তূপের দিকে যাচ্ছে এটা আর রক্ষা হবে না। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে এই সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে।

গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও বি.জে. (অব.) হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের পরিচালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, হান্নান শাহের ছেলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এসএম)