দেবর-ভাবির পরকীয়া, স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:১১

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্বামীর নির্যাতনে সীমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তার স্বামী ও জায়ের মধ্যে পরকীয়ার বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল গ্রামে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মুদি দোকানদার জুয়েল রানার স্ত্রী। নিহতের ৪ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী ও পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ডোয়াইল গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে জুয়েল রানার সঙ্গে তার ভাবি রেখা বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলে আসছিল। এ নিয়ে তিন বছর আগে জুয়েল ও তার প্রথম স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর চর বালিয়া গ্রামের সুরুজ ভুঁইয়ার মেয়ে সীমা আক্তারকে জুয়েল রানা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ বিয়ের পরও ভাবির সঙ্গে জুয়েলের পরকীয়া চলতে থাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল।

এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন সীমাকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দেখে তাকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল থেকে লাশ আনার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু বলে প্রচার করে। পথিমধ্যে কেন্দুয়া বাজার এলাকায় নিহতের পরিবার লাশ দেখতে চাইলে জুয়েল আপত্তি জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে।

0সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, স্বামী ও তার পরিবারের লোকদের নির্যাতনে গৃহবধূ সীমার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলেও তিনি জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এআর)