বগুড়ায় ঘুমন্ত শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যা করলেন বাবা

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৩৮ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৪০

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়ার শেরপুরে ১৪ মাস বয়সী এক কন্যা শিশুকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে পুকুরে ফেলে হত্যা করেছেন জাকির হোসেন নামে এক বাবা। লাশ উদ্ধারের পর জাকির হোসেনকে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। 

মঙ্গলবার দিবাগত রাতের উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিবার জানায়, মেয়েকে পুকুরে দিলে ধনসম্পদ পাওয়া যাবে এমন স্বপ্ন দেখে জাকির এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, পর পর কন্যা সন্তান হওয়ায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটান তিনি।

জাকির হোসেন ওই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। নিহত শিশুর নাম হুমায়রা খাতুন।

জানা গেছে, গত সাত বছর আগে জাকিরের সঙ্গে নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের নামা সিংড়াপাড়া গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে রাবেয়া খাতুনের বিয়ে হয়। এক বছরের মাথায় একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম জান্নাতি খাতুন। বর্তমানে বয়স ছয় বছর। এরপর বাবা জাকিরের প্রত্যাশা ছিল ছেলে সন্তানের। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হয়।

নিহতের দাদী সালেহা বিবি জানান, পরিবারের অনেকেই মাঝে মধ্যেই স্বপ্নে দেখতেন তাদের পরিবার থেকে কোনো বাচ্চা পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জাকিরের সাথেও তিনি আলোচনার পর তারা পুকুরে একাধিকবার দুধ ঢেলেছেন এবং চাল দিয়েছেন। এরপরেও তাদের সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটলো।

নিহত শিশুটির মা রাবেয়া খাতুন বলেন, মধ্যরাতে ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার মেয়ে হুমায়রা খাটের ওপর নেই। মেয়ের বাবাকে ফোন দেই। পরে পরিবারের সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে বিষয়টি জানাই। এরপর সবাই এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সকালে স্বামী মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করে পুকুরে লাশের সন্ধান দেয়। 

বগুড়া শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, পরপর দুটি কন্যা সন্তান হওয়ার কারণে জাকির অসন্তুষ্ট ছিলেন। এ কারণে তার ছোট কন্যাকে ঘুমন্ত অবস্থায় উঠিয়ে পঁচা ডোবায় হত্যা করে। এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের প্রেরণ করা হয়। আসামিকে আদালতে প্রেরণ করে রিমাণ্ডের আবেদন করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এসএম)