ফেনীতে নড়বড়ে সেতুই চার গ্রামের মানুষের একমাত্র সম্বল

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৫৮

এম শরীফ ভূঞা, ফেনী

চার গ্রামের কয়েকহাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট্ট কোমলমতি শিশুরা এ পথ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর, আশ্রাফপুর ও ডুমুরিয়াসহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কাটাখালী খাল। পথচারী ও স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ করতে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করা হলেও সেটির অবস্থা বেহাল। এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দ্রুতসময়ে সাঁকোটি নতুন করে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ২০১৬ সালে কাটাখালী খালের ওপর কাঠের সাঁকো তৈরি করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন। তবে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অভাবে সাঁকোটি এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাঁকোর নিচে কাঠের পাটাতনগুলোর বেশিরভাগ ভেঙে ফাঁকা হয়ে গেছে। হাত দিয়ে ধরার রেলিংগুলোও প্রায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও মাতুভূঞা প্রাথমিক বিদ্যালয়, করিম উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও মাতুভূঞা মাদরাসার অসংখ্য শিক্ষার্থী সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে। চলাচল করতে গিয়ে পা আটকে যাওয়াসহ প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।

মমারিজপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি এটিএম আতিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থী এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পার হতে হয়। সেতুটি স্থায়ীভাবে নির্মিত হলে আশেপাশের কয়েকগ্রামের হাজারো মানুষ উপকৃত হয়।

ব্যবসায়ী বালাকাত উল্যাহ মিলন বলেন, অসুস্থ ও মূমুর্ষরোগীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। এটি তৈরি করার পর আর সংস্কার বা মেরামত করা হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে সাঁকোটি মেরামত করা দরকার।

মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খুব শিগগির নতুন করে একটি সাঁকো তৈরি করা হবে। চলতি মাসে প্রকল্প পরিচালক এলে আমরা এ বিষয়ে দাবি জানাবো।

দাগনভূঞা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর বিষয়ে আমি জেনেছি। সেতুটি যাতে দ্রুত নির্মাণ করা হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এআর)