মিয়ানমারের সাগাইংয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচ গ্রামবাসী নিহত

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:০১ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের ওয়েটলেট টাউনশিপে জান্তা সরকারের অভিযানে রবিবার পাঁচ গ্রামবাসী নিহত এবং ২০ জন নিখোঁজ হয়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইরাবতী।

ওয়েটলেট টাউনশিপ পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) বলেছে, ৩৩ ডিভিশনের অধীনে শ্যাবোতে অবস্থিত ৪২ নং ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের প্রায় ৫০ জন জান্তা সৈন্য রবিবার ইওয়াথারগি গ্রামে দুটি ট্রাকে করে আসে এবং নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে।

ওয়েটলেট টাউনশিপ পিডিএফ ফাইটার সোমবার ইরাবতীকে জানায়, ‘গতকাল (রবিবার) সাতটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং আজ (সোমবার) আরও পাঁচটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। জান্তা সৈন্যরা নিহত গ্রামবাসীদের মৃতদেহ ফেলে দেয় যখন তারা ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। আমরা শুনেছি প্রায় ২০ জন গ্রামবাসীও নিখোঁজ রয়েছে। কিন্তু আমরা জানি না কেন।’

পালাতে না পাড়ায় প্রায় ১৫০ জন গ্রামবাসী আটকা পড়েছে। জান্তা সরকার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটকে রেখেছে বলে জানা গেছে।

অন্য এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘জান্তা সৈন্যদের গ্রামের স্কুলে মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে।’

ওয়েটলেট টাউনশিপের পশ্চিমে মান্দালয়, শ্যাবো এবং মনিওয়া যাওয়ার রাস্তার সংযোগস্থলে অবস্থিত প্রায় ১ হাজার বাড়িসহ ইওয়াথারগি একটি বড় গ্রাম। সামরিক শাসনের সৈন্যরা আপাত কারণ ছাড়াই গ্রামে অভিযান চালায়, কারণ অভিযানের আগে গ্রামের কাছাকাছি কোনো যুদ্ধ হয়নি।

রবিবার হ্লা তাও গ্রামে অবস্থিত জান্তা সৈন্যরা এবং পুলিশ ওয়েটলেটের অন্য একটি গ্রামেও অভিযান চালায়। এছাড়াও আশেপাশের গ্রামগুলিতে গোলা বর্ষণ করে।

গত বছরের অভ্যুত্থানের পর থেকে ইওয়াথারগিতে রবিবারের অভিযানটি ছিল চতুর্থ। এসব অভিযানের কারণে প্রায় ৪ হাজার গ্রামবাসী, পাশাপাশি আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।

এছাড়াও জান্তা সৈন্যরা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং গ্রামের একটি রাইস মিল থেকে ৩০ মিলিয়ন কিয়াট এবং আটটিকাল সোনার জিনিস চুরি করেছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

অ্যাডভেঞ্চার ইয়ুথ ড্রোন ইউনিট জানিয়েছে, স্থানীয় প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো রবিবার ইওয়াথারগিতে জান্তা বাহিনীর ওপর তিনটি ড্রোন হামলা চালায়। তবে সরকারের হতাহতের সংখ্যা এখনও অজানা।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এসএটি)