কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় জেলার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক বচারক তাজুল ইসলাম মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮), তার ভাই কনক (২১) ও একই এলাকার ঘরি উদ্দিনের ছেলে রফিক (৩৭)।
রায় প্রদানকালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন আদালতে অনুপস্থিত ছিলো।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৯ মে সকাল ১০ টায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ এলাকার রজব আলীকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। এতে ধারারো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইদবার মন্ডল ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ৬ জনের বিরুদ্ধে রজব আলী হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত ভেড়ামারা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক শওকত আলী।
পরে দীর্ঘ বিচার কাজ শেষে মঙ্গলবার রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, ভেড়ামারা থানায় জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে রজব আলীকে হত্যার দায়ে ৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আনোয়ার হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া আসামি রফিককে চার বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬মাসের জেল এবং কনককে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া মামলায় আরো তিন আসামি- ফারুক, আনোয়ারা ও মমতাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যহতি দেন আদালত।
(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এসএম)