টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসের পানগাঁও ইয়ার্ডে ছয়টি জাহাজের কিল-লে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসের পানগাঁও ইয়ার্ডে ছয়টি জাহাজের কিল-লে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ পানগাঁও ইয়ার্ডে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও টিএসএলএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফওয়ান সোবহান এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে জাহাজি হাতুড়ির আঘাতের মাধ্যমে নতুন জাহাজ নির্মাণের প্রথা কিল-লে (Keel-lay) কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ডিরেক্টর ইয়াশা সোবহান।

এজিএম-অপারেশন ও ইনচার্জ (টিএসএলএল) ইঞ্জিনিয়ার হাসান মো. মাহাদির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিওও (টিএসএলএল) খাইরুল বশির খান, সিওও (বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং, বসুন্ধরা রেডিমিক্স এন্ড কন্সট্রাকশন, টিএসএলএল) মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার তাজুল ইসলাম (শিপ-বিল্ডার বে টেক-এর পক্ষে), হেড অব ডিভিশন (মার্কেটিং এন্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মো. তৌফিক হাসান, হেড অব ডিভিশন (শিপিং অপারেশন্স ও এজেন্সি, টিএসএলএল) ক্যাপ্টেন মাহবুবুল আলম, হেড অব পিএসএস মো. ফয়েজুর রহমান, এজিএম-শিপ বিল্ডিং (টিএসএলএল) ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুল হক তোহা এবং প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান রেজিস্টার অব শিপিং (আইআরএস)-এর নিয়োগকৃত সার্ভেয়ার অনুপ কুমার উপস্থিত থেকে সাফওয়ান সোবহানের হাতে কিল-লে সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্য খালাসে সক্ষম (সেলফ আনলোডিং) প্রতিটি ২ হাজার ১৫০ ডিডাব্লিউটি ধারণক্ষমতার এম-ভি রানিয়া-৮, এম-ভি রানিয়া-৯, এম-ভি রানিয়া-১০, এম-ভি রানিয়া-১১, এম-ভি রানিয়া-১২ এবং এম-ভি রানিয়া-১৩ – মোট এই ৬-টি জাহাজের নির্মাণ কার্যক্রম গত বছরের নভেম্বরে শুরু হয়। প্রতিটি জাহাজ নির্মিত হচ্ছে আইআরএস ক্লাস অনুযায়ী, তাদের সামগ্রিক নীতিমালা, নির্দেশনা, তত্ত্বাবধান ও অনুমোদনের মাধ্যমে।

এ প্রসঙ্গে প্রধান অতিথি হিসেবে সাফওয়ান সোবহান তার বক্তব্যে বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে টিএসএলএল অত্যন্ত দক্ষতা আর নিপুণতার সঙ্গে পরিবেশ-বান্ধব একটি সুবিশাল গ্রিন ইয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করেছে। যেখানে দেশের আঙ্গিনায় প্রথম-বারের মতো এত বড় মাপের এতগুলো সেলফ-আনলোডিং জাহাজ একসাথে নির্মাণ হচ্ছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি এই জাহাজ অভ্যন্তরীণ নদীপথে পণ্য পরিবহনে সক্রিয় হবে। এটি দেশীয় জাহাজ নির্মাণ শিল্পে এক যুগান্তকারী অবতারণা।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শিগগির আমরা আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ রপ্তানি করব ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব।

প্রায় চার শতাধিক দক্ষ ও নিবেদিত কর্মীর সমন্বয়ে গড়া টিএসএলএল ইয়ার্ড-টি উপস্থিত অতিথিরা পরিদর্শন করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/ইএস)