সিরাজগঞ্জে কৃষক হত্যার রহস্য উন্মোচন, গ্রেপ্তার ৩

সিরাজগঞ্জে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কৃষক সাইদুর রহমান হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের চৌকষ দল।

এসময় আসামিদের নিকট থেকে নিহতের মোবাইল ফোনসহ আলামত উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার গুনাইগাতি গ্রামের আব্দুল মোমিন, মো. আলাউদ্দিন ও সোহেল রানা। 

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের গুনাইগাতি গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমানকে নিয়ে নৌকাভ্রমণে বের হন একই গ্রামের আ. মোমিন, আলাউদ্দিন ও সোহেল রানা। নৌকায় গান-বাজনা সম্পর্কিত টাকা-পয়সা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হলে সাইদুর রহমানকে মাথায় আঘাত করে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন তারা। লাশ গুম করার জন্য গলায় পাথর বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। 

হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রীর নিকট দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসামিরা। ঘটনার দুদিন পর একই উপজেলার গুনাইগাতি গ্রামের পশ্চিমে কুমার ব্রিজের নিকট সাইদুর রহমানের লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডটির রহস্য উদঘাটনে দায়িত্ব দেওয়া হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিমকে।

তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন (পিপিএম, বিপিএম), আব্দুল ওয়াদুদ (পিপিএম) ও সহকারি উপ-পরিদর্শক মিন্টু সেখ (পিপিএম) বুধবার দুপুরে একই উপজেলার এলংজানি বাজারে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে আসামিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিহতের মোবাইল ফোনসহ আলামত উদ্ধার করা হয়।

প্রেস কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) নুর আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম ও গোয়েন্দা শাখার মামলা সংশ্লিষ্ট টিম।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/এসএ)