বঙ্গবন্ধুর খুনি শাহরিয়ার রশিদের জামাতার সাত বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:০০ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:২৯

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রশংসা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তি করার মামলায় বঙ্গবন্ধুর খুনি সুলতান শাহরিয়ার রশিদের জামাতা ফুয়াদ জামানের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ট্রাইব্যুনাল একইসঙ্গে আসামির পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় বলা হয়,  ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে ফুয়াদ ফেসবুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড নিয়ে কটূক্তি করেন। সেই সঙ্গে আদালতের রায়ে প্রমাণিত হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানান।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই আদালত অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। গত বছরের ৬ জানুয়ারি আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন মোট সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ফুয়াদ জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত, ২০১৩) এর ৫৭ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ২০১৮ সালের গত ১৩ সেপ্টেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ওই মামলায়  এই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

রিমান্ড আবেদেন বলা হয়েছিল, আসামি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের জামাতা। তার সহধর্মীনি শেহনাজ রশিদ খান বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত রশিদ খানের মেয়ে। ফুয়াদ শাহরিয়ার রশিদের জামাতা হওয়ায় তার শ্বশুরের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে ওই বছরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে কটূক্তি করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি অপরাধের সত্যতা স্বীকার করেছেন। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ আরও তথ্য অন্য কোনো ডিভাইসে সংরক্ষিত আছে কি না এবং আসামির প্রকৃত নাম-ঠিকানা, অন্য কোনো সহযোগী বা ইন্ধনদাতা আছে কি না তাদের নাম-ঠিকানা ও অপপ্রচারমূলক আরও কোনো যোগাযোগ মাধ্যম আছে কি না তা জানার জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

পরে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলে অভিযান চালিয়ে পেশায় শিক্ষক ফুয়াদ জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় ফুয়াদের কাছ থেকে মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।

এর আগে ২৩ আগস্ট মো. নাজমুল হাসান পিয়াস নামে এক ব্যক্তি ধানমন্ডি থানায় ফুয়াদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধুর আরও চার খুনির সঙ্গে সুলতান শাহরিয়ার রশিদের মৃত্যদণ্ড কার্যকর হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/আরজেড/কেআর/কেএম)