ইরানে ‘নীতি পুলিশ’ বিরোধী বিক্ষোভ, নিহত বেড়ে ৮৩

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
ছবি- রয়টার্স

ইরানে ‘নীতি পুলিশ’- এর হাতে গ্রেপ্তার তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশ জুড়ে শুরু হয় ‘নীতি পুলিশ’ বিরোধী বিক্ষোভ। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখনো চলমান রয়েছে। একটি মানবাধিকার গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের দুই সপ্তাহের বিক্ষোভে ৮৩ জন নিহত হয়েছে।

ঠিকমতো হিজাব না পরায় ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়েছিল ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহসা আমিনি। তদার মৃত্যুতে ইরানে যে গণ বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে এমন বিক্ষোভ সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে। সে বছর পেট্রলের দাম বৃদ্ধি গণবিক্ষোভ করেছিল দেশটির জনগণ।

নরওয়ে ভিত্তিক গ্রুপ ইরান হিউম্যান রাইটস টুইটারে বলেছে, ‘ইরান বিক্ষোভে শিশুসহ অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।’

ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা এবং কর্তৃপক্ষের ভয়ঙ্কর ক্র্যাকডাউন সত্ত্বেও, টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওগুলিতে তেহরান, কোম, রাশত, সানন্দাজ, মাসজেদ-ই-সুলেমান এবং অন্যান্য শহরে যাজক প্রতিষ্ঠানের পতনের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের দেখানো হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, পুলিশ পরিসংখ্যান না দিয়ে বিপুল সংখ্যক ‘দাঙ্গাবাজ’কে গ্রেপ্তার করেছে।

অধিকার গোষ্ঠীগুলি বলছে, কয়েক ডজন কর্মী, ছাত্র এবং শিল্পীকে আটক করা হয়েছে। কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট টুইটারে জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমিনির মৃত্যুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়।

নরওয়েতে, বেশ কয়েকজন লোক অসলোতে ইরানী দূতাবাসে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। এ সময় হালকা সংঘর্ষে দুজন সামান্য আহত হয় বলে নরওয়েজিয়ান পুলিশ জানিয়েছে। পাবলিক ব্রডকাস্টার এনআরকে জানিয়েছে, পুলিশ ৯৫ জনকে আটক করেছে।

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে বৈরী পশ্চিমা শক্তিগুলোর সর্বশেষ পদক্ষেপ ছিল অস্থিরতা।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রাইসি বলেন, ‘শত্রুরা ৪৩ বছর ধরে ইসলামিক ইরানের মুখে গণনাগত ভুল করেছে। তাদের ধারণা ইরান একটি দুর্বল দেশ, এখানে চাইলে সহজেই তারা আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।’

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/এসএটি)