নাভিশ্বাসের বাজারে ক্রেতা কমেছে সবজির

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৫২

পুলক রাজ, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর বাজারে প্রায় সব পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। সবজি, মাছ, মুরগি, ডিম, চালসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নাভিশ্বাস উঠছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের। এ অবস্থায় অনেক পণ্যই কেনা কমিয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে বাজারে এখন সবজির ক্রেতা কম, খোদ বিক্রেতারাই বলছেন এ কথা।

শুক্রবার সরজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে- চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, মুলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, লম্বা বেগুনের কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁকরোল ৮৫ টাকা, ধুন্দুল কেজি ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, শিমের কেজি ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা, টমেটো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা,  গাজর ১৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লেবু ২০ থেকে ৩০ টাকা হালি, কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি আকার ভেদে ৪০ থেকে ৬৫ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব সবজির দাম ৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট ৭৫ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৯৫ টাকা, আটাশ চাল ৬০ টাকা, মাঝারি মানের চালের (বিআর ২৮) কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) কেজিপ্রতি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২০০ থেকে সাড়ে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ৭০০  টাকা কেজি, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, ৮০০ থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছের দাম ১০০০ থেকে ১২৫০ টাকা কেজি, ১ কেজির বেশি ওজনের হলে কেজি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেড় থেকে ২ কেজি ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা, ট্যাংরা মাছের কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং মাছ আকার ভেদে ৫২০ থেকে ৬২০ টাকা কেজি, বোয়াল আকার ভেদে ৪৯০ থেকে ৬২০ টাকা, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২১৫ টাকা, কাতল মাছ ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা, কই মাছের কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, রুই ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, শোল মাছ ৪২০ থেকে ৬১০ টাকা, তেলাপিয়া ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫০ টাকা, রসুন দেশি ১৫০ টাকা, আদা কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা, মসুর ডাল চিকন ১৫০ টাকা কেজি, মোটা ১২০ টাকা, মুগডাল কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, সয়াবিন তেল (বোতলজাত) লিটার ১৯০ টাকা, পাঁচ লিটার ৯৪৫ টাকা, চিনি (ফ্রেশ ও তীর) কেজিপ্রতি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৮০ টাকা, গরুর কলিজা কেজিপ্রতি ৬৮০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা, খাসির পায়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, প্রতিটি ডিম ১২ টাকা ৫০ পয়সা, হালি ৫০ টাকা, ডজন  ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁঠালবাগান এলাকার সবজি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সবজি আগে অনেক বেশি বিক্রি করা যেত। এখন বাজারে ক্রেতা কম, বিক্রিও কম।’

কলাবাগান এলাকার মাছ বিক্রেতা লাবিব হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মাছের দাম এখনো বাড়তি। সবকিছুর দাম বেশি, ট্রাকভাড়া দুই হাজারের জায়গায় ২৫০০-৩০০০ দিতে হয়। ফলে আমাদের কাছে মাছ আসতে আসতে দাম বেড়ে যায়।’

তেজগাঁও এলাকার ক্রেতা মান্না মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘চাল, তেল, সবজি, মাছসহ বাজারে কোনো কিছুর দাম কমেনি। যতো দিন যায় সবকিছুর দাম বাড়ে। এরকম চলতে থাকলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের চলা দায় হয়ে পড়বে।’

ইন্দিরা রোড এলাকার ক্রেতা আল-আমিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বাজারে সব কিছু চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। যার কাছ থেকে যতো দাম নেওয়া যায় সেই চেষ্টায় আছে বিক্রেতারা।’

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/পিআর/এফএ)