কক্সবাজার যাওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবি, তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:৫২

ফরিদপুরের সালথায় কক্সবাজার যাওয়ার কথা বলে কাজের সাইডে বাধা দিয়ে এক ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন, সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমামুল খান (২৫), উপজেলা ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি আবু মুসা ওরফে প্রিন্স মুসা (২২) ও জসীম মোল্যা (২০) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী। গ্রেপ্তার সবার বাড়িই উপজেলা সদরের মাঠ সালথা এলাকায়।

শুক্রবার দুপুরে তাদের ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিকাল ৩টার দিকে সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সালথা উপজেলা সদরের মাঠ সালথা কলেজ রোড এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজ করছে তাসা কনস্ট্রাকশন নামে ফরিদপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাজের মালামালের ট্রলি ঠেকিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন ৮-১০ জন যুবক। দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় তারা ট্রলির ড্রাইভারকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয় তাসা কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার কয়েকজন যুবক কক্সবাজারে যাওয়ার খরচ চেয়ে রাস্তার মালামালের ট্রলি গাড়ি আটকিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এর আগে তাদের ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে দাবি এ ঠিকাদারের। পরে চাঁদা দাবির বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানাতে একটি এজাহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে গ্রেপ্তারকৃত উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু মুসার ভাই ইলিয়াস মোল্যা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় নিম্নমানের কাজ করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার ভাইসহ স্থানীয় কয়েকজন ছেলে প্রতিবাদ করে। তাদের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি ভিত্তিহীন।

সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় বলেন, ছাত্রলীগ ভালো কাজ করলে সুনাম হয়। আবার খারাপ কাজের সাথে জড়িত হলে দুর্নাম পুরো সংগঠনের উপর পড়ে। তবে আমি বিষয়টি শুনেছি। সেখানকার একটি পক্ষ বলছে, রাস্তার নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে কাজের বাধা দেওয়া হয়েছে। আবার আরেকটি পক্ষ বলছে, ট্রলি থামিয়ে তারা চাঁদা দাবি করেছে। তাই আমরা সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অপরদিকে একই বক্তব্য জানতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহামেদের মুঠোফোনেও একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে থানাতে একটি এজাহার দায়েরের পর তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কি-না তা আমার জানা নেই। গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে ফরিদপুরের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :