আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদকে আনুষ্ঠানিক বিদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:০৪ | প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:১২

বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শেষে আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বাভাবিক অবসরে গেলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। শেষ বিদায়ে পুলিশের একটি সুসজ্জিত দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

আইজিপির দায়িত্ব হস্তান্তরের পর শুক্রবার বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বিদায়ী আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়। পরে তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের কাছ থেকে বিদায় নেন।

বিদায়ী আইজিপি দৃষ্টিনন্দনভাবে বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে বিশেষভাবে সাজানো আইজিপির সুসজ্জিত গাড়িতে আরোহন করেন। বাংলাদেশ পুলিশের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী সুসজ্জিত গাড়ির সঙ্গে বাঁধা রশি টেনে আইজিপিকে বিদায় জানানো হয়। পুলিশ সদরদপ্তরের সব পর্যায়ের অফিসার ও সদস্য এবং সিভিল স্টাফরা দুই পাশে রশি ধরে টেনে গাড়িটি পুলিশ সদর দপ্তরের আউট গেট পর্যন্ত নিয়ে আসেন। সেখান থেকে বিদায়ী আইজিপির গাড়ি অশ্বারোহী ও মোটর শোভাযাত্রাসহ মিন্টো রোডস্থ পুলিশ ভবনে পৌঁছে দেয়া হয়।

বর্ণীল কর্মজীবনের অধিকারী ড. বেনজীর আহমেদ ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করে বিভিন্ন পর্যায়ে দীর্ঘ ৩৪ বছর ৭ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেন। আইজিপি হিসেবে ২৮ মাসের কর্মজীবনে বাংলাদেশ পুলিশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাশিত 'জনগণের পুলিশ' এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত 'ভিশন-২০৪১' সালের উন্নত দেশের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন।

তিনি আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় পুরো দেশ করোনা মহামারির ভয়াল থাবায় অচল হয়ে পড়ে। তিনি করোনা প্রতিরোধে সম্মুখযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের মানসম্মত চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর ও একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করেন। তাঁর নেতৃত্বে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশ তাদেরকে মানবিক সহায়তা প্রদান করে।

বেনজীর আহমেদ আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, অপেশাদার আচরণ বন্ধ করা, বিট পুলিশিং এবং পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ এ পাঁচ নীতি ঘোষণা করেন। পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশকে ৬ হাজার ৯১২টি বিটে ভাগ করে বিট পুলিশিং চালু করেন।

এছাড়া ড. বেনজীর আহমেদ পুলিশের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজন, পুলিশ কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন, পুলিশ কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পর্যন্ত বছরে কমপক্ষে একবার বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যানুয়েল, গাইডলাইন ও এসওপি তৈরি, নারীদের জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস 'সাইবার সাপোর্ট পর উইমেন ফেসবুক পেজ', পুলিশের নিজস্ব নিউজ পোর্টাল 'পুলিশ নিউজ' ইত্যাদি চালু করেন।

পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে তিনি সব বিভাগে আন্তর্জাতিক মানের স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতালের আধুনিকায়ন করেন। তার হাত ধরে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে বেশ কিছু নতুন প্রতিষ্ঠান চালু হয়।

ড. বেনজীর আহমেদের সৃষ্টিশীলতা, উদ্ভাবনী চিন্তা ও কল্যাণমুখী পুলিশিং উত্তরসূরীদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টম্বর/এএইচ/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

৫০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :