সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষায় দ্রুত আইন প্রণয়নের দাবি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষায় দ্রুত আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।
ধর্মীয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন “রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরাম” (আরআরএফ) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শনিবার বিকালে রাজধানী ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সংগঠন দুটির নেতারা এ দাবি জানান।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে. এল ভৌমিক বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার ছিল সনাতন ধর্মালম্বীদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন ও পাস করে দ্রুত কার্যকর করার। কিন্তু সেটা এখনও হয়নি। যদি আইনটা পাস হতো তাহলে কী আজকে আমাদের ও পুলিশকে মন্দির পাহারা দিতে হতো?
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে হলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই বড় উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে এই আইন দ্রুত পাস করতে হবে।
‘আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হিসেবে আলাদা করে পরিচিত হতে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এ চিন্তা-চেতনা বাহাত্তরের সংবিধান পরিপন্থী’—যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে এককভাবে কোনো রাষ্ট্র গড়ে উঠতে পারে না। ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র গড়ে উঠলে সমাজে বৈষম্য বাড়বে। একসময় জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আমরা কি এই দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম? আজকে আমরা বাজেট বৈষম্যের শিকার। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়তে ধর্মীয় বৈষম্য দূর করে প্রত্যেক ধর্মকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, সাবেক সভাপতি ও সাবেক সচিব শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার, উপদেষ্টা জয়ন্ত সেন দীপু, মহিলা সম্পাদক পদ্মাবতী দেবী ও সদস্য দীপালি চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন।
এসময় আরআরএফের সভাপতি উবায়দুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মহসীনুল করিম লেবু, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মুহাম্মদ নঈমুদ্দীন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সুশান্ত কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাটাইমস/০১অক্টোবর/ইএস