মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে ডাব

পুলক রাজ. ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৪৬ | প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৩১

আশ্বিনেও চৈত্রের গরম। সূর্যের খরতাপে অতিষ্ঠ জনজীবন। তাই তেষ্টা মেটাতে রাজধানীবাসীর কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে ডাবের পানি। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ মৌসুমে ডাবের উৎপাদন বেশি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীর বাজারে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের ডাব আসে। ফলে ক্রেতাদের চাহিদাও বাড়তে থাকে।

গরমে আরাম পেতে ডাবের পানিতে এক চুমুক যেন শরীরে প্রশান্তি বয়ে আনে। একটু ডাবের পানি পান করতে ভেতরটা হাহাকার করে। কিন্তু অতিরিক্ত দামের কারণে ডাব কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

শনিবার সরেজমিনে রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বড় আকারের ডাব ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, মাঝারি আকারের ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, ছোট আকারের ডাব ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সব ধরনের পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে ডাব আসে রাজধানীতে। ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে সব কিছুর পাশাপাশি ডাবের মূল্যও বেড়েছে।

বাংলামোটর এলাকার ডাব বিক্রেতা সৌরভ মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, রাজধানীতে অনেক চাহিদা আছে ডাবের। কাস্টমারদের চাহিদা থাকলেও ডাব কম খাচ্ছেন। একমাত্র কারণ ডাবের দাম বেশি। একটা বড় আকারের ডাব ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

পান্থপথ এলাকার ডাব ক্রেতা ইকবাল হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমি তো প্রায় প্রতিদিন ডাবের পানি পান করতাম। কিন্তু অতিরিক্ত দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে কম খাওয়া হচ্ছে। দুই মাস আগে যে ডাব ৯০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতাম সেই ডাব আজকে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে কিনে খেতে হচ্ছে।

ইস্কাটন এলাকার ডাব ক্রেতা ইমরান ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন,ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো দাম রাখছে ডাব বিক্রেতারা। সরকারের এদিকেও নজর রাখা উচিত।

মগবাজার এলাকার ডাব বিক্রেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নাই। আমরা তো লাভ ছাড়া বিক্রি করতে পারব না। বাজারে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি। আমাদের তো সংসার চালাতে হয় ডাব বিক্রি করে। সব কিছুর দাম কমলে ডাবের দামও কমবে।

(ঢাকাটাইমস/২অক্টোবর/পিআর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :