বগুড়ায় দীপঙ্কর চক্রবর্তী স্মৃতিপদক পেলেন তিন সাংবাদিক

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৫৮

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য বগুড়ায় কর্মরত তিন সাংবাদিক পেলেন দীপঙ্কর চক্রবর্তী স্মৃতিপদক। দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যাকান্ডের ১৮ বছর উপলক্ষে বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে) রবিবার বেলা ১১টায় বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্মরণসভা ও স্মৃতি পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনজন সাংবাদিকের হাতে স্মৃতিপদক তুলে দেন।

দীপঙ্কর চক্রবর্তী স্মৃতিপদক প্রাপ্তরা হলেন, দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, দৈনিক ইত্তেফাকের নিজস্ব প্রতিবেদক মিলন রহমান এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক ঠান্ডা আজাদ।

বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হাবিবর রহমান বলেন, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার বিকাশ দেশের স্বার্থেই প্রয়োজন। সেই সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যারা হত্যাকান্ডের শিকার বা যারা হামলার শিকার হন- তাদের পাশে দাঁড়ানো ও আইনি সহায়তা দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বর্তমান সরকার সেই বিষয়ে আন্তরিক। সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে হতাশাজনক বিষয় হলো বগুড়ায় কর্মরত অবস্থায় জোট সরকারের সময় নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তীর মামলাটির ঘটনা। দীর্ঘদিন এই মামলা ফাইল চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল, পরবর্তীতে তিন বছর আগে জঙ্গি হামলার সম্পৃক্ততা দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। কিন্তু তার পরিবার বা সহকর্মী কেউ এতে সন্তুষ্ট নন। যেহেতু অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেছেন, এখন আইনি প্রক্রিয়া মেনে তা অধিকতর তদন্ত করা যায় কি-না সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিইউজের সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু, বিএফইউজের সহ-সভাপতি ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রয়াত সাংবাদিকের ছেলে অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী, আরিফ রেহমান, মুরশিদ আলম, মাসুদুর রহমান রানাসহ আরো অনেকে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী নিজ কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বাড়ির সন্নিকটে খুন হন। সেসময় তিনি বগুড়া থেকে প্রকাশিত দুর্জয় বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি ছিলেন। ওই ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে পার্থ সারথী চক্রবর্তী হত্যা মামলা করেন। মামলার পর তিন দফা ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে মামলা ঘুরে ডিবিতে আসার পর ২০১৭ সালের ৭মার্চ বগুড়ার তৎকালীন পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান জঙ্গি হামলায় দীপঙ্কর চক্রবর্তী খুন হয়েছেন। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার জঙ্গি রাজীব গান্ধী ৬ মার্চ বগুড়ার বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সেই খুনের দায় স্বীকার করেছেন। জবানবন্দিতে রাজীব নিজেসহ চার জঙ্গি হত্যাকান্ডে অংশ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন। অপর তিন জঙ্গি হলো সারওয়ার জাহান মানিক, সানাউল্লাহ ও নুরুল্লাহ। পরে তাদের নামে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই হত্যাকান্ডের পর থেকেই বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিগত ২০১৯ সাল থেকে স্মৃতিপদক প্রদান করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/০২অক্টোবর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :