কাউন্সিলর মোর্শেদ বাহিনীর বিচার দাবি ব্যাংক কর্মকর্তার

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২২, ০০:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নারী নির্যাতন, হত্যা, ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজিসহ ডজনখানেক মামলার আসামি কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার বিশ্বাস বেতকা এলাকার ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা মৌসুমী মাহমুদা।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে মৌসুমী মাহমুদা জানান, গত ২০২১ সালের ১২ জুন টাঙ্গাইল জেলা প্রেসক্লাবে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ-খুনি মোর্শেদের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট সন্ত্রাসী মোর্শেদকে দুইটি বিদেশি আগ্নোয়াস্ত্র, দুইটি ম্যাগজিন ও কয়েক রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইয়াবা কারবারি রাফসান, বাপ্পি, টুন্ডা রনি, পাঠা রনি, কিশোর গ্যাং দীপ্ত, কটুসহ আরো অনেক কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপকর্মের খরচও সে চালায় এবং তাদের দিয়ে বেআইনি কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে তার।

তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, মোর্শেদের নামে আমি ২০২০ সালে চাঁদাবাজির মামলা করি (মামলা নং-২৮০/২০)। চার্জশিট দাখিল হওয়ায় মামলার চার্জ গঠনের জন্য গত ২০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল আদালত আদেশ দেয়। এই আদেশের পরই সন্ত্রাসীরা ৫টি মোটরসাইকেলে তাদের পিছু নেয় এবং টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামের পাশের পুকুরপাড় রোডে কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী রাফসান, বাপ্পি, কটু, রনি, হৃদয়, দিপ্তসহ অজ্ঞাত আরো ১৪/১৫ জন সন্ত্রাসী তাদের রিকশা আটকে চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, হেমার, লোহার পাইপ ও তরবারি দিয়ে হামলা চালায়। তাদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করা হলে পুলিশ  ‘ডেংগু হৃদয় ও দিপ্ত’ নামে ২ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। এই দুই আসামি আদালাতে ৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। বাকিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও অজানা কারণে তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না।

তিনি জানান, মোর্শেদসহ সন্ত্রাসীরা আমার জায়গা জোর করে দখল করে নেয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে জায়গা বিক্রি করে দিতে চাইলেও কেউ ভয়ে কিনতে চাইছে না।

টাঙ্গাইলের সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।

তবে মোর্শেদ জেলে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/এসআর/এলএ