জয় ডি-সেট সেন্টার স্থাপন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমঝোতা

প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৩৭ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের তৃণমূল পর্যায়ে আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ এবং সম্প্রসারণের  জন্য ‘জয় ডি-সেট সেন্টার’ (D-SET Center) স্থাপনের বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সকালে আইসিটি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘জয় ডি-সেট সেন্টার’ স্থাপনের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম  জিয়াউল আলম।

‘জয় ডি-সেট সেন্টার’ নিয়ে আলোচনায় সচিব বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর যে রূপকল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর। ‘রূপকল্প-২০২১: ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তবতা। দেশের সাধারণ জনগণ এখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সুফল উপলব্ধি করছে।

আইসিটি অবকাঠামো বিনির্মানের ইতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ কোভিড-১৯ মহামারিকালে বুঝতে পেরেছে। জীবনযাত্রা সচল রাখতে আইসিটির সকল অবকাঠামোসমূহ ব্যবহার করে মানুষ কোভিড-১৯ পেনডেমিক মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “স্মার্ট বাংলাদেশ” এর ‘রূপকল্প ২০৪১' ঘোষণা দিয়েছেন। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ ও এর ব্যবহার সম্প্রসারণের জন ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্প চালু করেছে।

প্রকল্পটির লক্ষ্য দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ভৌত অবকাঠামো শক্তিশালী করণ, প্রতিভা কাজে লাগানো, জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছানো এবং আইসিটির উন্নয়নে মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা।

তিনি বলেন, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের অঙ্গসমূহের মধ্যে আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নে সারা দেশের ৫৫৫টি জয় ডি-সেট সেন্টার স্থাপন করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, (সুরক্ষা), সিএএমএস (সেন্ট্রাল এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম), ই-নথিওয়েব পোর্টাল, ৩৩৩ কোর্ট,  এপিএমএস (অ্যানুয়াল পারফর্মেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) উদ্ভাব সেবা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণগুলো মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও স্থানীয় বিভাগের মধ্যে অনুষ্ঠিত আজকের সমঝোতা স্মারক |

জয় ডি-সেট সেন্টারে যে সকল জোন বিদ্যমান থাকবেঃ ওয়ান স্টপ সার্ভিস ডেলিভারি, প্রশিক্ষণ ল্যাব, স্টার্টাপ, প্লাগ অ্যান্ড প্লে ফর ইয়োথ,  এনসিসি  ( নেটোয়ার্ক অপারেশন সেন্টার), সুইচ রুম।

জয় ডি সেট কেন্দ্রের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন,  সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা, সরকারি কর্মচারীদের আইসিটি বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করা, তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরি, নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি, মাঠ পর্যায়ে আইসিটি অবকাঠামো শক্তিশালী করায় মূল উদ্দেশ্য।

জয় ডি-সেট সেন্টারের উপকারভোগী সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রত্যক্ষভাবে প্রতিদিন ৩৩ হাজার তিশত জনের অধিক সরকারি কর্মচারি, প্রতিটি সেন্টার থেকে প্রতিবছর ১ লাখ ২০ হাজার জন শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে এবং ২০০ জন ফ্রি ল্যান্সার তৈরি হবে।

আর পরোক্ষভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল নাগরিক, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতায় সমগ্র বাংলাদেশে ৫৫৫টি ‘জয় ডি-সেট কেন্দ্র’ স্থাপনের মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে। ফলে বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে এক অনন্য উচ্চতায় বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৪অক্টোবর/এসকেএস)