দেবিদ্বারে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলা, গুলি বর্ষণ

প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১৪:১২ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১৪:২৬

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লার দেবিদ্বারে সংসদ সদস্য রাজী ফখরুল ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলা ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। পরে নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেন।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ভিংলাবাড়ি এলাকায় ওই ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান কালামের ৫ সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন—ভিংলাবাড়ি এলাকার মো. সজিব মিয়া, মো. জহির, মাহবুব হোসেন এবং বানিয়াপাড়া এলাকার হিমেল  ও শুভ। তাদের মধ্যে মো. সজিব মিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান কালাম সোমবার দিবাগত রাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌরসভার আলিয়াবাদ এলাকায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আসেন।একই সময়ে স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলও তার নেতাকর্মীদের নিয়ে একই এলাকায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আসেন। এক পর্যায়ে বহরের গাড়ি রাখা নিয়ে উভয়ের নেতাকর্মীদের বাগবিতণ্ডা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পরে উপজেলা চেয়ারম্যান কালাম তার গাড়ি বহর নিয়ে পৌরসভার ফতেহাবাদ এলাকার একটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ভিংলাবাড়ি এসে স্থানীয় এক নেতার বাড়িতে চা খাচ্ছিলেন।এসময় এমপি রাজী ফখরুলের গাড়ি বহর আলিয়াবাদের মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ফতেহাবাদ এলাকার অন্য আরেকটি মণ্ডপে যাওয়ার পথে এমপির নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল থেকে আবুল কালাম আজাদ ও তার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে আপত্তিকর স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় চেয়ারম্যান কালামের নেতাকর্মীরা পাল্টা স্লোগান দিলে রাজী ফখরুলের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।এসময় চেয়ারম্যান কালাম গাড়ি থেকে বের হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তার ওপর হামলা ঘটনা ঘটে।এসময় তাকে উদ্দেশ্যে করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এমপি রাজী ফখরুলের নেতাকর্মীরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আলিয়াবাদ এলাকায় আমার নেতাকর্মীদের মারধর করে।পরে ফতেহাবাদ এলাকায় একটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ভিংলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে পুনরায় তারা হামলা চালায়।’

‘আমি তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়।সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করেছে এবং আমার সরকারি গাড়িতেও গুলি করেছে। সৌভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে যাই।আমার ৫-৬জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে।’

ঘটনার বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য রাজী ফখরুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাড়া মেলেনি।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলার কথা আমরা শুনেছি। তবে এ নিয়ে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/এআর)