রপ্তানি আয় শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে, প্রত্যাশা পরিকল্পনামন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০২২, ২১:৫৯

রপ্তানি আয় শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি সাত শতাংশ কমার বিষয়ে তিনি বলেন, রপ্তানি কমার বিষয়টি নিয়ে আমিও চিন্তিত ছিলাম। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, ভয়ের কিছু নেই। সামনের মাসের মধ্যেই এটি ঘুরে দাঁড়াবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ম্যান মেড ফাইবার ফর মুভিং আপ দ্য ভ্যালু চেইন অব আরএমজি ইন দ্য কনটেস্ট অব এলডিসি গ্ৰ্যাজুয়েশন’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মেজবাউল হক ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণেই রপ্তানি কমেছে। বায়াররাও বুঝতে পারছেন না কোথায় চাহিদা রয়েছে। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াবে। আমিও তা বিশ্বাস করি। কারণ যতই যুদ্ধ চলুক মানুষকে তো কাপড় পরতেই হবে। তাই ব্যবসা তার নিজের পথ খুঁজে পাবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাপড়ের বাজারের যে অংশে আছি, তা স্কুইজ হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। হাতে তৈরি বা কৃত্রিম তন্তুর বাজার অনেক বড়, যেটা আমার জানা ছিল না। আজকের এ প্রোগ্রাম থেকে এটা জানলাম। সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে এই যে, কৃত্রিম তন্তুর বাজারে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। অতি তাড়াতাড়ি আমরা এখানে যদি ট্রানজিশনের ব্যবস্থা না করি, তাহলে আমাদের যে এখন একটি অ্যাডভান্টেজ আছে কটনে, তা হয়তো টিকবে না। সুতরাং আলোচনা হচ্ছে কীভাবে ট্রানজিট করা যায়।’

ম্যান মেড ফাইবারে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেন্টিভ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখানে দেওয়ার কেউ নই। এটা নিয়ে আলোচনা হবে। এই ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়ার বিষয়টি সবার সঙ্গে বসে এনবিআর ঠিক করবে। আমি এর পক্ষে। তবে আমার মতে ইনসেনটিভের বাজার ফেয়ার হওয়া উচিত। কেউ পাচ্ছে না, কেউ বেশি পেয়ে গেল— তা হওয়া উচিত নয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ইনসেন্টিভ ইকোনোমিতে বিশ্বাসী নই। তবে আমার সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা অবশ্যই আমি প্রতিপালন করব। সরকার বহু বছর যাবত এখানে-ওখানে ইনসেন্টিভ দিয়ে আসছে। এটি একটি অন্তর্নিহিত ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এর কায়েমি স্বার্থ আছে। ব্যবসা শেষ হয়ে গেছে, তারপরও ইনসেন্টিভ রয়ে গেছে এমনও মাঝে মাঝে শুনি।’

মূল্যস্ফীতির বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, মূল্যস্ফীতির মূল বার্তা হলো— কমেছে এবং ভালো পরিমাণে কমেছে। একজন ভোক্তা হিসেবে বলতে পারি এ মাসে আরও কমবে। যথাযথ ফিগার আমি অতি শীঘ্রই আপনাদের দেব।

এনবিআর দ্বারা ব্যবসায়ীদের হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তো সবার খোঁজ খবর রাখি। তবে আমি সরাসরি কাউকে হয়রানি করতে দেখিনি। সবই শুনেছি।’

(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/এমএইচ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ঢাবির কেমিস্ট্রি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক কামরুল, সম্পাদক আফতাব আলী

বিডিবিএল-সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি

প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক ব্যবসায়িক সম্মেলন

তিন উৎসবে রঙিন এনআরবিসি ব্যাংক

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব

রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা

ব্যাংক এশিয়া কিনে নিচ্ছে পাকিস্তানি আলফালাহ ব্যাংক

এনসিসি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি

এক্সিম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন মইদুল ইসলাম

ডিএমডি হলেন অগ্রণী ব্যাংকের শামিম উদ্দিন আহমেদ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :