সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন পিরোজপুরের জেলেরা
পিরোজপুরের নেছারাবাদে সন্ধ্যা নদীতে ভরা মৌসুমেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। জেলেরা দিনে দুবার নদীতে জাল ফেলেও চার পাঁচটা জাটকা ইলিশ ছাড়া জালে ধরা দিচ্ছে না বড় কোনো ইলিশ।
তাই হতাশ হয়ে পড়েছেন উপজেলার প্রায় তিন হাজার জেলে। জালে ইলিশ না মেলায় কোনো কোনো জেলের ঘরে নেই পূজার আনন্দ। তারা মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে জাল নৌকা কিনে নদীতে যান ইলিশ শিকারে। মাছ ধরে মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ করবেন। আনবেন সংসারে সচ্ছলতা।
তবে এ বছর তাদের জালে সেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না মেলায় সংসার চালানো তো দূরের কথা মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ করতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের জেলে পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় নীরবতা। জেলেরা জাল নৌকা ঘাটে উঠিয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন। নদীতে কোনো মাছ পাই না, তাই সংসারে কোনো পূজার আনন্দ নেই। এই পূজায় ছেলে মেয়েদের একটা নতুন পোশাক কিনে দিতে পারিনি। মাছ না পাওয়ায় ক্রমেই দেনার জালে আটকে যাচ্ছি। তার মধ্যে আগামী ২২ দিন নদীতে অবরোধ।
তাই সংসারের খরচ মেটাতে স্থানীয় এনজিও থেকে চড়া সুদে লোন নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে জেলেদের। এছাড়া এ সময় সরকারিভাবে ৩০ কেজি চাল ছাড়া জেলেদের কপালে আর কিছুই জোটে না।উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ওবাইদুল হক বলেন, এ বছর ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মোট ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়কালে নদীতে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত নিষিদ্ধ। এই নিষিদ্ধ সময়ে উপজেলায় মোট ২৮৫৬ জন জেলেকেই সরকারিভাবে চাল দেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৫অক্টোবর/এসএম)