ভোজ্যতেলের দাম কমেও কমেনি

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৫১ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২২, ২৩:২১

পুলক রাজ, ঢাকাটাইমস

সরকার ভোজ্যতেলের দাম কমানোর দুই দিন পরও বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। অধিকাংশ দোকানে পুরোনো দামেই বিক্রি হচ্ছে এই নিত্যপণ্য। এর মধ্যেই কোথাও কোনো  মনিটরিংয়ের খবরও পাওয়া যায়নি। এই সুযোগেই ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বিশ্ববাজারে দাম কমে যাওয়ায় গত সোমবার (৩ অক্টোবর) দেশে সয়াবিনের দাম কমায় সরকার, যা মঙ্গলবার কর্যকর করা হয়। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলে ১৯২ টাকা থেকে ১৪ টাকা কমিয়ে ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সয়াবিন তেল পুরনো দামেই বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মগবাজার, ইস্কাটন গার্ডেন, বাংলামোটর, পান্থপথ, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, রামপুরা বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার, এলাকা, পাড়া-মহল্লায় এক লিটার সয়াবিন তেল ১৯২ টাকা ও পাঁচ লিটার ৯১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নতুন দামে বিক্রি করা হচ্ছে না। নতুন বোতল আসার আগ পর্যন্ত আগের দামে বিক্রি করবে বলে জানিয়েছে তারা।

ক্রেতাদের ভাষ্য, যেকোন পণ্যের দাম বাড়লে সঙ্গে সঙ্গে বাজারেও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো পণ্যের দাম কমলে আগের দামেই বিক্রি করেন ক্রেতারা।

মগবাজার এলাকার ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুর রহমান শফিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা কী করবো! আমাদের কাছে আগের পণ্য এখনো আছে। ফলে আমরা নতুন দামে এখন বিক্রি করতে পারবো না। নতুন বোতলজাত তেল এলে তখন থেকে আমরা নতুন দামে বিক্রি করবো।

বাংলামোটর এলাকার মুদি দোকানী মনির হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমাদের কে কিছু বলে লাভ নেই। আমরা তো আর নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লোকসান দিতে পারবো না। আমাদের কাছে এখনো সয়াবিন তেলের নতুন পণ্য আসেনি। তাই আগের দামেই বিক্রি করবো।

রামপুরা এলাকার ক্রেতা আশফাকুর রহমান আশফাক ঢাকা টাইমসকে বলেন, সরকার থেকে কড়া নজরে আসা জরুরি রাজধানীর বিভিন্ন বাজার। সয়াবিন তেলের দাম কমার কথা শুনে বাজারে এসেছি এক লিটার সয়াবিন তেল কিনতে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখনো আগের দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। ১৯২ টাকার এক টাকাও কম রাখেনি। কিদিন্তু নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ১৭৮ টাকা প্রতি লিটার।

পান্থপথ এলাকার ক্রেতা তৌহিদ মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, রাগ হয়! যেকোন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা এলেই নগদ বাড়িয়ে বিক্রি করা শুরু করে দেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পণ্যের মূল্য কমানোর ঘোষণা এলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নানা ধরনের অজুহাত দিতে দেখা যায়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা ক্রেতাদের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদেরও একই কথা, বাজারে পণ্যের দাম কমানোর পরও কেন দাম কমেনি! আমি বারবার বলছি ব্যবসায়ীরা আগে ঠিক হয়ে যেতে হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য সাধারণ মানুষ কেন দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, যেহেতু আগের পণ্য রয়েছে। নতুন পণ্য এখনো আসেনি। আরো তিন চার দিন অপেক্ষার পর ব্যবস্থা নেবো আমরা। 

(ঢাকাটাইমস/০৫অক্টোবর/পিআর/কেএম)