বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে শিল্প কারখানায় ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১৯:১৩ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২২, ২১:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে মঙ্গলবার শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে টানা সাত-আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার পর রাতে সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এতে শিল্পকারখানা সমৃদ্ধ এলাকা নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সাভারের কারখানাগুলোতে শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যুৎ আসার পর শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। বিপর্যয়ের সময় অনেক কারখানা জেনারেটর দিয়ে সচল রাখতে হয়েছে। ফলে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এর পুরোটাই লোকসান হিসেবে যোগ হবে উদ্যোক্তাদের ঘাড়ে।

বিদ্যুৎবিভ্রাটে নরসিংদী এলাকার প্রায় ১২ হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠানে টানা ৮ ঘণ্টা উৎপাদন বন্ধ থাকে। এতে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষতির কথা জানায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। বিদ্যুৎবিভ্রাটে টেক্সটাইল মালিকদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েন উৎপাদনের ওপর মজুরি পাওয়া অন্তত দুই লাখ শ্রমিক।

এ বিষয়ে বিটিএমএর ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নরসিংদীসহ সারাদেশে যে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে, এতে বেশ ক্ষতি হয়েছে। যদিও সঠিক কোনো পরিমাণ হুট করে বলা যাবে না। তবে শুধু যদি টেক্সটাইল খাত বিবেচনা করা হয়, আমরা মনে করি, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জের শিল্পাঞ্চলেও এই অবস্থা হয়েছে। বিদ্যুৎবিভ্রাটে রপ্তানিজাত পোশাক খাতসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কোটি কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতি হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী, সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেড, সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বিসিক ও রূপগঞ্জের জামদানি পল্লীসহ বিভিন্ন ইকোনমিক জোনে বিদ্যুৎ না থাকায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। এ সময় ছয় হাজার শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় সার্বিকভাবে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এদিকে সাভারের ৩০০ ছোট কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়। বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো জেনারেটরের মাধ্যমে চলেছে। এতে মালিকদের বাড়তি টাকা গুনতে হয়। জেনারেটর চালাতে গিয়ে কারখানা প্রতি খরচ হয়েছে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। এছাড়া উৎপাদনমুখী অনেক শিল্পকারখানায় অর্ধবেলা ছুটি ঘোষণা করা হয়।

বিজিএমইএ-র সভাপতি ফারুক হাসান জানান, ‘মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ না থাকায় সহস্রাধিক কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। অনেক কারখানা জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখলেও এতে বাড়তি খরচ হয়েছে। তবে ঠিক কত ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক হিসাব বলা মুশকিল।’

(ঢাকাটাইমস/০৫অক্টোবর/এমএইচ/কেএম)