রাজধানীতে জশনে জুলুস
প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৫৭
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সৈয়্যদ মোহাম্মদ তাহির শাহের নেতৃত্বে রাজধানীতে বিশাল জসনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট, ঢাকার ব্যবস্থাপনায় জুলুসটি ঢাকা মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে শুরু হয়ে আসাদগেট ঘুরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মাদ্রাসা ময়দানে গিয়ে শেষ হয়। হাজার হাজার রাসুলপ্রেমী হাতে কালিমা খচিত পতাকা নিয়ে জুলুসে অংশ নেন। এ সময় তাদের মুখে ছিল ‘ইয়া নবি সালাম আলাইকা’, ‘মুস্তফা জানে রহমত পে লাখো সালাম’।
পরে মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় ঈদে মীলাদুন্নবী মাহফিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়্যদ মোহাম্মদ সাবির শাহ। তিনি বলেন, সমাজে সত্যিকার অর্থে আদর্শ, নৈতিক বোধসম্পন্ন ও দেশপ্রেমিক দ্বীনদার মানুষ গড়ার জন্য প্রিয় নবীর অনুপম আদর্শ অনুসরণ করার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, একদিকে সন্ত্রাসবাদ অন্যদিকে করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক মন্দার আঘাতে বর্তমান পৃথিবী আজ দিশেহারা। শান্তির খোঁজে ছুটছে মানুষ। অনেক জায়গায় মুসলিম নিধন ঘটছে নীরবে। অন্যদিকে, নৈতিক ও যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষা ও অনুশীলনের অভাবে সমাজে খুন-খারাবি, ঘুষ-দুর্নীতি, নারী-নির্যাতন ইত্যাদি লেগেই আছে। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় প্রিয়নবী (স.) আদর্শ ও শিক্ষার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। এই শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের অন্তরাত্মা পরিশুদ্ধ হয় এবং ইহলোক ও পরোলোকে শান্তি নসিব হয়।
পীরে কামেল সৈয়্যদ তাহের শাহের সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজাদা সৈয়্যদ মোহাম্মদ কাশিম শাহ।
কাদেরিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হকের সঞ্চালনায় শাহজাদা মোহাম্মদ কাশিম শাহ বলেন, রাসুলে কারীম (স.)-এর আদর্শ থেকে বিচ্যুতির কারণেই মূলত পৃথিবীতে অশান্তি নেমে এসেছে। যারা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে নবী-অলিদের প্রতি বিদ্বেষী করে তুলে, হাজার বছর ধরে চলে আসা ইসলামী অনুষ্ঠানমালা যেমন ঈদে মিলাদুন্নবী, শবে বরাত, শবে মেরাজ ও ফাতেহা ইত্যাদির বিরোধিতা করে, তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকা দরকার।
মাহফিলে বক্তব্য দেন আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট, ঢাকার সম্মানিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, ঢাকার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পি.এইচ.পি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফি, এডিশনাল সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মদ শামসুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মদ সিরাজুল হক, ঢাকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুল মালেক বুলবুল, ট্রেজারার আলহাজ্ব শোয়েবুজ্জামান চৌধুরী তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ হযরত আলী প্রমুখ।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) এর তাৎপর্য তুলে ধরে বয়ান করেন কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ কাজী আব্দুল আলিম রিজভী, মুফতী মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মুনিরুজ্জামান, মাওলানা মাহমুদুর রহমান চিশতী, ড. মাওলানা নাসির উদ্দিনসহ প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরামগণ।
খতমে গাউসিয়া ও মিলাদ শরীফ সমাপান্তে বাংলাদেশসহ সমস্ত মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া করেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহির শাহ্। -বিজ্ঞপ্তি
(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/কেএম)