সেন্টমার্টিনগামী কর্ণফুলী জাহাজে চরম ভোগান্তি

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০২২, ২১:২৮

ছৈয়দ আলম, কক্সবাজার

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অনেকটা জোর করে যাত্রা করেছে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাত্রা। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের প্রথম দিন চরম ভোগান্তির মধ্যে দ্বীপে পৌঁছতে হলো সাড়ে ৭ শত পর্যটককে। টানা ৫ ঘণ্টার ভোগান্তির পর দ্বীপে গেলেও ফেরার সময় শুধু ৩০ জন পর্যটক কক্সবাজার ফিরছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ বাঁকখালী নদীর বিআইডিটিডাব্লিও ঘাট থেকে পর্যটক বহনকারী এমভি কর্ণফুলি এক্সপ্রেস জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। যাত্রাটি যাত্রা দেয়ার পরপর শুরু হয় ভোগান্তি।

জাহাজে থাকা বেসরকারি টেলিভিশনের এক প্রতিনিধি জানান, জাহাজটি যাত্রা দেয়ার পর থেকে উত্তাল সাগরের কবলে পড়ে। এসময় পর্যাপ্ত এসি সংকট, জাহাজের গন্ধের কারণে শুরু হয় পর্যটকদের বমি।

জাহাজে এলোমেলোভাবে শুয়ে থাকেন পর্যটকরা। বাচ্চারা শুরু করে কান্না। ফলে ভয়ানক এক পরিস্থিতির তৈরি হয়। জাহাজটি ১২টায় পৌঁছার কথা থাকলেও দ্বীপে পৌঁছতে সময় লাগে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

তিনি জানান, জাহাজটি বিকাল সাড়ে ৩টায় দ্বীপ থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা দেয়। যাওয়ার সময় সাড়ে ৭শত পর্যটক থাকলেও ফিরেছেন কেবল ৩০ জন। অতিরিক্ত ভোগান্তির কারণে অনেক পর্যটক ফিরে আসার কথা থাকলেও ফিরেননি।

ঢাকার এক কলেজের প্রভাষক শামিম বলেন, আসলে এভাবে হবে কল্পনাও করিনি। জীবনে প্রথম হয়তো বমি করছি। অসুস্থ হয়ে পড়ছি, তাই সেন্টমার্টিন থেকে ফিরিনি। 

আরেক পর্যটক আমিনুল ইসলাম ইসলাম জানান, দিনে দিনে সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার আশা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। দ্বীপে অবস্থান করছেন তিনি। অসুস্থ শরীরে ফেরার সাহস হয়নি। জাহাজ ভ্রমণ এমন চরম তা জানা ছিল না।

এমভি কর্ণফুলি জাহাজের কক্সবাজার অফিসের ইনচার্জ হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, তিনি কক্সবাজার রয়েছেন। জাহাজে বমি করা অসুস্থতা না। জাহাজে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা না থাকলে বমি হওয়াটা স্বাভাবিক। আর জাহাজে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল। গন্ধ হওয়ার কোন কারণ নেই। তবে দীর্ঘদিন পর চলাচল করে কিছু এসির যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে। জাহাজে অসুস্থ হওয়ার কোন খবর তিনি পাননি। তবে খবর নিয়ে দেখছেন। এরকম হলে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/এলএ)