ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে কাজ করেছে ইন্টারনেট: মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১০:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্র্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাইজেসনের ফলে বাংলাদেশের অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। স্বাস্থ্য -শিক্ষা, শিল্প বাণিজ্য ও সরকারি সেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আজকের এই  রূপান্তরে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে কাজ করেছে ইন্টারনেট।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ইন্টারনেট আমরা পৌঁছে দিচ্ছি। দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগের পাশাপাশি দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইলে ফোর-জি সেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে, একদেশ একরেটসহ ব্যয় সাশ্রয়ী করা হয়েছে ব্যান্ডউইদথের মূল্য।’

২০০৮ সালে ২৭ হাজার টাকা প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইদথের মূল্য ক্ষেত্র বিশেষে মাত্র ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টর সপ্তাহ’ উপলক্ষে ‘অ্যাসোসিয়েসন অব অ্যাসেট মেনেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়েল ফান্ডস আয়োজিত রোল অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইএসজি এনালাইটিকস ইন সাসটেইনেবল ফিনান্সিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘মানুষ হচ্ছে আমাদের সম্পদ। উদ্ভাবনে দেশ যত সমৃদ্ধ হবে আমরা তত বেশি সমৃদ্ধ হবো। আমাদের এখন সময় হয়েছে, আমাদের উদ্ভাবনে যেতেই হবে।’

একসময় যারা শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছে তারাও এখন চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি উল্লেখ করে বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি পৃথিবীকে বদলেই দেবে না, উন্নত দেশ অনুন্নত আর অনুন্নত হয়ে যেতে পারে উন্নত।’

অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ তার বিপুল সংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রোবটিক্স, আইওটি, বিগডাটা, ব্লকচেইন ইত্যাদি নতুন প্রযুক্তি প্রসারের ফলে আগামী দিনগুলোতে প্রচলিত ধারার শিল্প –বাণিজ্য পাল্টে যাবে উল্লেখ করে দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচলিত ধারার পরিবর্তনের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করতেই হবে।’

দক্ষতা অর্জনের পথে কোনো আপস নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও ডাটা হাব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বর্তমান প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘এমন একটা সময় আসবে যখন কৃত্রিম বুদ্বিমত্তা প্রযুক্তি ছাড়া শেয়ার ব্যবসা করার বিষয়টি মানুষ চিন্তাও করতে পারবে না। ডাটা এনালাইসিস করে জানা যাবে কোন শেয়ারের দাম কখন বাড়বে কিংবা কমবে।’

অ্যাসোসিয়েসন অব অ্যাসেট মেনেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়েল ফান্ডস’র সভাপতি ড. হাসান ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএসইসি কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, মো. আবদুল হালিম ও ড. মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বক্তারা টেকসই আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে স্টেপ ইএসজি এনালিটিকস উদ্বোধন করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৭অক্টোবর/এফএ)