মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান শুরু, খাদ্য সহায়তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাজবাড়ীর জেলেরা

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১১:৫৫

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

রাজবাড়ীর ৮৫ কিলোমিটার অংশে রয়েছে প্রমত্তা পদ্মা নদী। ফলে নদী তীরবর্তী প্রায় ২০ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। এরমধ্যে জেলায় কার্ডধারী জেলের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। 

এদিকে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পযন্ত ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। 

অপরদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ ধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত কার্ডধারী জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসাবে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু এবার এখনো খাদ্য সহায়তা পাননি এ জেলার জেলেরা। তবে প্রকৃত জেলে ছাড়া অন্যরা এ সহায়তা পান বলেও অভিযোগ রয়েছে। 
জেলা মৎস্য অফিস বলছে, নতুন জেলেদের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা হবে। এবছর ইলিশ ধরার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ৬ হাজার জেলের খাদ্য সহায়তার চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা, হাট বাজারে কেনা-বেচা ও পরিবহন করলে রয়েছে জেল জরিমানার বিধান। ফলে এসময় অনেক জেলেই মানবেতর জীবন-যাপন করেন। সরকারি সহায়তা হিসাবে নিবন্ধিত কার্ডধারী জেলেরা ২০ কেজি করে চাল ছাড়া অন্য কোনো সহায়তা পান না। যে কারণে অন্যান্য খরচ মেটাতে হিমশিম খান জেলেরা।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, পুরাতন তালিকা অনুযায়ী রাজবাড়ী জেলায় বর্তমানে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১০ হাজার ২৯০ জন। যারা সরকারী সুবিধা পান। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২০ কেজি করে চাল পান ৪ হাজার ৭শ জন এবং জাটকা ধরা নিষেধাজ্ঞার সময় দুই কিস্তিতে ৮০ কেজি চাল পান ৩ হাজার ৫শ জন নিবন্ধিত জেলে।

জেলে গোলাপ মন্ডল, আলামিন, মাজেদ কাজী, সমশের, মনছের সরদারসহ অনেকে বলেন, মাছ ধরেই তাদের সংসার চলে। সরকারের নির্দেশনা তারা মানতে রাজি, কিন্তু সরকার তো তাদের দেখে না। ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা বন্ধের সময় তাদের সংসার খুব কষ্টে চলে। এ কয়েকদিন পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন যায়। ২২ দিনের জন্য সরকার যে ২০ কেজি করে চাল দেয়, এ বছর সেটাও পাননি। আর চাল দিয়ে সব হয় না। তরকারিসহ সংসারে অনেক খরচ। সুদের ওপর টাকা নিয়ে অথবা ধার করে এ কয়েকদিন সংসার চালাতে হবে।

তারা আরৈ বলেন, মৎস্য অফিসের মাধ্যমে সরকার যে সহায়তা দেয়। সেটাও প্রকৃত জেলেরা পায় না। পায় যারা অন্য পেশায় কাজ করে। তাই সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত জেলেদের সহায়তা দিতে সরকারকে অনুরোধ জানান।

রাজবাড়ী জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, গত বছর ৪ হাজার ৭শ জন জেলেকে ৯৪ মেট্রিকটন খাদ্য সহায়তা দিয়েছিলেন। এ বছর তালিকা চূড়ান্ত না হলেও ৬ হাজার জন জেলেকে সহায়তার জন্য চাহিদা দিয়েছেন। আশা করছেন কয়েক দিনের মধ্যে সেটা পেয়ে যাবেন। 

(ঢাকাটাইমস/৭অক্টোবর/এসএম)