পাকিস্তানকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাবে এই সরকার: ইমরান খান

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৪৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

দেশের অর্থনীতি পরিচালনার বিষয়ে ক্ষমাতাসীন সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেইসঙ্গে দ্রুত নির্বাচনেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর আল-জাজিরার।

বৃহস্পতিবার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান বলেন, ‘সমস্যা হল এই সরকার পাকিস্তানকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাবে। ইকোনমি ট্যাঙ্কস এবং যদি আমরা ঋণ খেলাপি হই তাহলে কী হবে? এটি আমাদের সকলের নাগালের বাইরে চলে যাবে।

ইতোমধ্যে পাকিস্তানের নাজেহাল অর্থনীতি দেখেছে বিশ্ব। তার ওপর আবার সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যা মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি হিসেব মতে বন্যায় দেশটিতে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলারের মতো।

এমনকি বন্যায় ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি লোক মারা যাওয়ার এবং বাড়িঘর, রাস্তা, রেল নেটওয়ার্ক ধ্বংস হওয়ার আগে থেকেই পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমশ কমতে শুরু করেছিল।

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার কারণে পাকিস্তানের দারিদ্র্যের হার ২.৫ থেকে ৪ শতাংশের মতো বাড়তে পারে। দেশটির ২২ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ ইতিমধ্যেই দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতির দেওয়ার পর বুধবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বন্যা কবলিত দেশটির জন্য ২.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও আগস্টের শেষের দিকে দেশটির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ১.১৭ বিলিয়ন বেলআউট প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে ইমরান খান জানান, অর্থনীতি পরবর্তী সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হবে যা তিনি গঠনে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আমরা কোন পর্যায়ে অর্থনীতির উত্তরাধিকারী হব। তবে আমি খুব গুরুতর পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি। ২০১৮ সালে আমরা যে অর্থনীতির দায়িত্ব নিয়েছিলাম তার চেয়ে অনেক খারাপ সময় চলছে এখন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ শতাংশ টেক্সটাইল শিল্প বেকারত্বের কারণে বন্ধ রয়েছে। আমাদের গাড়ি শিল্প এবং মোবাইল ফোন শিল্পের প্রায় ৫০ শতাংশ বন্ধ রয়েছে। টেক্সটাইল শিল্পে ধর্মঘট চলছে, কৃষকরাও ধর্মঘটে গেছে। যত তাড়াতাড়ি আপনি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পাবেন, তত দ্রুত আপনার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে। পাকিস্তানের জন্য সময়ই মূল বিষয়।’

গত এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোটের শরীকদের একটি অনির্বাচিত সরকার তার স্থলাভিষিক্ত হয়।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আগাম নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে জনসভা করছেন ইমরান খান। নির্বাচনটি স্বাভাবিক নিয়মে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হওয়ার কথা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৭অক্টোবর/এসএটি)