পুতিনের জন্মেদিনে কিমের শুভেচ্ছা, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে সম্পর্ক

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৩৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ এবং হুমকিগুলিকে চূর্ণ করার জন্য’ পুতিনকে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার ৭০তম জন্মদিনে পদার্পণ করেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বিশ্লেষকরা বলছে, পুতিনের জন্মদিনে কিমের শুভেচ্ছা জানানো দেশ দুইটির মধ্যকার গভীর সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতা বেড়ে যাওয়ায় উত্তর কোরিয়ায় এর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের দিনগুলোতে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার এতটাও উষ্ণ সম্পর্ক না থাকলে বর্তমানে সেই সুবিধাটা নিচ্ছে দেশটি। কেননা পশ্চিমা জোটের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে রাশিয়ার এখন বন্ধুত্ব বেশি দরকার।

কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়া স্নায়ুযুদ্ধের প্রথম দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থনে গঠিত হয়েছিল। উত্তর কোরিয়া পরবর্তীতে চীন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের ব্যাপক সহায়তায় ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের মিত্রদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল।

উত্তর কোরিয়া কয়েক দশক ধরে সোভিয়েত সহায়তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। এর ফলে ১৯৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলে উত্তরে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।

পিয়ংইয়ংয়ের নেতারা একে অপরের ভারসাম্য বজায় রাখতে বেইজিং এবং মস্কোকে ব্যবহার করার প্রবণতা দেখিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে কিম জং উনের উভয় দেশের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা সম্পর্ক ছিল। এমনকি উভয় দেশই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সমর্থনও করেছিল।

কিন্তু ২০১৭ সালে শেষ পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর সম্পর্ক মেরামতের জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন কিম। ২০১৯ সালে কিম এবং পুতিন রাশিয়ান শহর ভ্লাদিভোস্তকের একটি শীর্ষ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো দেখা করেছিলেন।

এরপর থেকে রাশিয়া চীনের সঙ্গে মিলে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধীতা করা শুরু করে।

রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো শুরু করলে উত্তর কোরিয়াও মস্কোর প্রতি জনসমর্থনের প্রতিদান দিয়েছে। এমনকি একমাত্র দেশ হিসেবে বিচ্ছিন্ন ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলির স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যুদ্ধের ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত মজুদ পুনঃভর্তি করতে, লক্ষ লক্ষ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং অন্যান্য অস্ত্র কেনার বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রাশিয়া। যদিও দুইটি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি অস্বীকার করেছে।

(ঢাকাটাইমস/০৭অক্টোবর/এসএটি)