শেরপুরের সীমান্ত অঞ্চলে সবজির বাম্পার ফলন

মো. আব্বাস উদ্দিন, শেরপুর
 | প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর ২০২২, ০৯:১৭

শেরপুরের সীমান্ত অঞ্চলে নানা জাতের সবজির বাম্পার ফলন। সবজির দাম ভালো হওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। প্রতি কেজি সিম ১৫০ টাকা, প্রতি পিছ লাউ ৫০-৬০ টাকা, প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ৮০-৯০ টাকা , চাল কুমড়া প্রতি পিস ৭০-৮০ টাকা, প্রতি কেজি কড়লা ৯০-১০০ টাকা, পেপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা , প্রতি কেজি শসা-বেগুন ৭০-৮০ টাকা, মূলা প্রতি হালি ৪০ টাকা , ডাঙ্গা প্রতি হালি ২০-৩০ টাকা, পালং শাক, পুঁইশাক ও লাল শাক প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, কাঁকরুল প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা, কদু প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, বরবটি-ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা।

এছাড়াও অন্যান্য শাক সবজি অত্র অঞ্চলে উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে।

উল্লেখ্য, উক্ত জেলা পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই পাঁচটি উপজেলায় কৃষি উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল। উক্ত উপজেলার পাঁচটি উপজেলার সিংহ ভাগ লোক কৃষক। এই জেলার কৃষকরা ধান পাট ও নানাজাতের সবজি চাষ করে থাকে। কিন্তু সীমান্তবর্তী তিনটি উপজেলা ঝিনাইগাতী শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার শত শত একর উঁচু ভূমি পানির অভাবে অনাবাদি থাকতো। এতে এলাকারই দরিদ্র প্রান্তিক চাষিরা জমে থাকতেও অভাব অনটনে দিন কাটতো। কারণ ওইসব জমিতে কোনো কিছু উৎপাদন করা সম্ভব হতো না। এই জন্য জমি থেকেও তার অভাবে থাকতে হতো। বর্তমানে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করে এই সমস্ত উঁচু জমি গুলিতে পানির ব্যবস্থা মাধ্যমে নানাজাতের সবজি চাষ করছে। ফলে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে।

এসব দক্ষ কৃষকের নানা প্রযুক্তি দিয়ে উৎপাদন শুরু করে এতে খুলে যায় কৃষকের ভাগ্য। বছরের বারো মাস সব ধরনের সবজি উৎপাদন শুরু করে। শীত মৌসুমের সবজি গ্রীষ্মকালেও উৎপাদন শুরু করে। এতে কৃষকরা সফলতা অর্জন করে। তাদের উৎপাদিত সবজি তারা অনেক দামে বিক্রি করে। এতে কৃষকরা অনেক লাভবান হচ্ছে। বর্তমানে উক্ত এলাকার উৎপাদিত নানা জাতের সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যোগান দিয়ে আসছে। একদিকে কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন। তেমনি এই এলাকার কৃষকদের পতিত ভূমি গুলি থেকে উৎপাদন হচ্ছে হাজার হাজার মন নানা জাতের সবজি। এই তিনটি উপজেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হলদিগ্রাম, গারোকোনা, সন্ধ্যাকুরা, গান্ধীগাও ভালুকা, ফুলহারী, বাঁকাকুড়া, গজনী, ফাঁকরাবাদ, ভারুয়া, গুমরা, গারোকোনা, হলদি বাটা, বনগাঁও, জিগাতলা, নন্নী, কর্ণঝোরা সহ আরো অনেক এলাকা। এই এলাকার হাজার হাজার একর জমিতে এখন ১২ মাস নানাজাতের সবজি চাষ হচ্ছে। এবং সব ধরনের সবজি ওই অঞ্চলে উৎপাদন করছে কৃষকেরা। এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায় আমরা এই সরকারি দায়িত্ব পালন করার ফলে কৃষকরা লাভবান হলে আমরা অনেকটাই খুশি। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য কৃষকদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা । তাই আমাদের সহযোগিতার ফলে কৃষকরা লাভবান হলে সরকারের উদ্দেশ্য আমাদের সরকারি দায়িত্ব পালন করার জন্য কৃষকরা লাভবান হলে আমরাও খুশি হই।

উল্লেখ্য, প্রতিদিন এ এলাকা থেকে হাজার হাজার মণ সবজি ঢাকা ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। এ সব সবজি বিক্রি করে কৃষকরা প্রতিদিন নগদ টাকা হাতে গুনছে এতে কিসকরা বেজায় খুশি। সবজির পাশাপাশি অঞ্চলে কৃষকরা বাড়ির আশপাশে লিচু, লেবু, মালটা, কমলা, আম, জাম, কলাসহ অন্যান্য ফুলের বাগান করে তারা লাভবান হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/এআর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :