চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগী

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০২২, ১৪:০৬

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৩০ জন নতুন রোগী। এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৪৫ জন। বর্তমানে ভর্তি আছে ৬৩ জন। সকল থেকে দুপুর পর্যন্ত বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী।

দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আক্রান্তদের অনেককে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান হওয়ায় ওয়ার্ডের বাইরে বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে আক্রান্ত রোগীদের। জনবল সংকট হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে স্যালাইন ও ওষুধ পথ্যের কোন কমতি নেই বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায়, রোগী ও স্বজনদের উপচে পড়া ভিড়। সেখানে ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা সিমিত। কিন্তু, রোগী ভর্তি আছেন ৬৩ জন। ওয়ার্ডে জায়গা না থাকায় বেশিরভাগ রোগী বারান্দায় থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। চিকিৎসক ও সেবিকারা রোগীদের পরিচর্যা করা, স্যালাইন দেয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। রোগী বেশি হলেও সেবিকারা হাসি মুখে সেবা দিয়েছে রোগীদের।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন বলেন, খাবারের কারনে বেশিরভাগ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাসি খাবার বর্জন করতে হবে। খাবার আগে সাবান দিয়ে দুই হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। বাজারের খোলা স্থানে রাখা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে হবে। তারপরও প্রয়োজন হলে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাত্হে আকরাম বলেন, বর্তমানে সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। জনবল সংকট হলেও চিকিৎসক ও সেবিকারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসিমুখে সেবা দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ আছে।

(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/এআর)