লন্ডনে রানির স্মরণসভায় অংশ নেওয়ায় ইমামের অপসারণ দাবি

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৩৫

লন্ডন প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পূর্ব লন্ডনে মওদুদি আদর্শের অনুসারীদের পরিচালিত ইস্ট লন্ডন মসজিদের একজন ইমাম রানীর স্মরণসভায় যোগ দিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ায় বাংলাদেশি মুসল্লিদের  একটি অংশ তার অপসারণ চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।

রিজেন্ট পার্কে লন্ডনের কেন্দ্রীয় মসজিদে রানির স্মরণসভায় অংশ নিয়েছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের   ইমাম মোহাম্মদ মাহমুদ। যেখানে ‘গড সেইভ দ্য কিং’ গাওয়া হয়, যা নিয়ে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকের আপত্তি।

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় ইস্ট লন্ডন মসজিদের  ইমাম মোহাম্মদ মাহমুদকে দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবি তুলেছেন একদল ব্রিটিশ-বাংলাদেশি মুসলমান।

ইস্ট লন্ডন মসজিদের ভেতরে  শনিবার মাগরিবের নামাজের পর তারা ইমামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেন। মোহাম্মদ মাহমুদকে অপসারণের দাবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি প্রচারাভিযানও চালানো হচ্ছে, যেখানে এক হাজারের বেশি মানুষ সই করেছেন। সম্প্রতি রিজেন্ট পার্কে লন্ডনের সেন্ট্রাল মসজিদে ওই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। রানি এলিজাবেথের প্রতি সম্মান জানাতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনশর বেশি মুসলমান অংশ  হয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।

ব্রিটেনের কোনো জাতীয় মসজিদে এবারই প্রথম জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় এবং তাতে অংশ নেয় ৭০ জন মুসলিম স্কুল শিশু।

 লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জনমত পত্রিকার সাবেক সম্পাদক নবাব উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা বহু বিশ্বাস ও বহুজাতিক  সমাজে বসবাস করি। এখানকার আইন আমাদের মানতে হবে। আমার মতে, ইমাম মাহমুদ ভুল কিছু করেননি। তাকে সেখানে (রানির স্মরণসভা) অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল এবং এ দেশের নাগরিক হিসাবে তিনি জাতীয় সংগীত গেয়েছেন। আপনি যদি আপনার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং অলিম্পিকে মেডেল পান, তবে জাতীয় সংগীত আপনাকে গাইতে হবে।

মাহমুদকে অপসারণের দাবিকে ‘যুক্তরাজ্যে মুসলিমদের মধ্যে বিভক্তি ছড়ানোর চেষ্টা’হিসাবে দেখছেন ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও  লন্ডন মুসলিম সেন্টারের সাথে ঘনিষ্ট নবাব উদ্দিন।

লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনমতের সাবেক সম্পাদক  নবাব উদ্দিন বলেন, ইমাম মোহাম্মদ মাহমুদ ইসলামিক জ্ঞানে একজন পণ্ডিত ব্যক্তি। পূর্ব লন্ডনের মসজিদ থেকে তাকে সরানো হলে তা মুসলিম কমিউনিটির জন্য বিশাল ক্ষতি হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/এলএ)