মুন্সীগঞ্জে মার খেয়ে ছাত্রলীগকর্মী আইসিইউতে, আসামি হলেন সাবেক মেয়র

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২২, ১৯:০৪ | প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর ২০২২, ১৯:০১

মুন্সীগঞ্জ সদরে আবির হোসেনের (২২) নামে এক ছাত্রলীগকর্মীকে মারধরের হামলার ঘটনায় মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহিদুল ইসলাম শাহিনকে প্রধান আসামি করে সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার বিকালে ভুক্তভোগী আবির হোসেনের বাবা নাছির মিয়া বাদী হয়ে শহিদুল ইসলাম শাহিনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এই এজাহার করেন।

শহিদুল ইসলাম শাহীন মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি।

এর আগে শুক্রবার রাত মিরকাদিমের কালিন্দিপাড়া এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে আহত আবির বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- মিরকাদিমের পূর্বপাড়া এলাকার বাহালুল মিয়ার ছেলে বাবুল আহাম্মেদ (৪২), মৃত করিম বেপারীর ছেলে মাসুদ ফকির খোকন (৬০), টেংগর এলাকার সাধু বেপারীর ছেলে সম্পদ মিয়া (২৫), পূর্বপাড়া এলাকার সেলিমের ছেলে সাগর (২৬), তিলার্দিচর শরিয়তনগর এলাকার শিপলুর ছেলে ইমতিয়াজ সানি, বুলু মিয়ার ছেলে নাজিম (২৮) এবং নৈদিঘিরপাথর খালেক মেম্বারের ছেলে খশরু নোমান (৪৫)।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিকাবিবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন শেষ করে আবির হোসেন (২২) মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনের বাড়ির সামনে দিয়ে বাড়িতে ফিরছিল। এসময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে আবিরকে পথরোধ করে শহিদুল ইসলাম শাহিনসহ এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা। পরে সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন আবিরের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত আসামিরা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আবিরের মাথা, বুক, কোমড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে।

পরে আহত অবস্থায় আবিরকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে আবিরের অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। শুনেছি, হিরোঞ্চিদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। আমি ১০ বছর মেয়র ছিলাম, কারো সাথে এমন আচরণ করিনি। যাকে মারধর করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ২-৩ দিন আগে থানায় মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, মারামারির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :