রাশিয়া থেকে আমদানি করা গমের প্রথম চালান বন্দরে
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া থেকে পাঁচ লাখ টন গম আমদানি চুক্তির প্রথম চালান বন্দরে এসেছে। ‘জি টু জি’ বা দুদেশের সরকারের চুক্তির ভিত্তিতে এসব গম খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমদানি করছে সরকার। চালানে রাশিয়া থেকে প্রায় ৫২ হাজার ৮৪৫ টন গম এসেছে। বৃহস্পতিবার থেকে গমের চালানের খালাস শুরু হয়েছে।
রাশিয়ার নভেরোসিসক বন্দর থেকে রওনা দিয়ে ‘এমভি সিলাক-২’ নামের জাহাজটি কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছায়।
খাদ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের বলেন, ‘জাহাজটি কুতুবদিয়া চ্যানেলে আছে। কাস্টমস হাউজের ফরমালিটিজ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করার পর বৃহস্পতিবার থেকে লাইটারেজ জাহাজে করে গম খালাস শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে এসব গম আমদানি করা হয়েছে। পাঁচ লাখ টন আমদানির অংশ হিসেবে গমের অন্যান্য চালান আসার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।’
চট্টগ্রাম বন্দর ও শিপিং এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটি গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার নভেরোসিসক বন্দর থেকে রওনা হয়। বৃহস্পতিবার জাহাজটি বন্দরের জলসীমায় পৌঁছে। জাহাজটি থেকে ৩১ হাজার ৭০৭ টন গম খালাস হবে চট্টগ্রাম বন্দরে। বাকি ২১ হাজার ১৩৮ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গত ১ সেপ্টেম্বর সরকারি পর্যায়ে এসব গম আমদানির অনুমোদন দেয়। রাশিয়া থেকে কেনা এসব গমের সবমিলিয়ে আমদানি মূল্য পড়ছে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এতে রাশিয়া থেকে প্রতি টন গমের আমদানি খরচ পড়ছে ৪৩০ ডলারের মতো।
রাশিয়া থেকে সর্বশেষ গম আমদানি হয়েছিল এ বছরের ২৭ জানুয়ারি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কোনো গম দেশ দুটি থেকে আসেনি। এখন সরকারি পর্যায়ে আমদানি শুরু হলেও ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনো দেশ থেকেই আমদানি শুরু হয়নি।
বাংলাদেশে চালের পর দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যশস্য গম। এসব গমের বেশী আনা হত রাশিয়া-ইউক্রেন ও ভারত থেকে। যুদ্ধের আগে সবচেয়ে বেশি গম আমদানি হতো রাশিয়া থেকে। দেশে গমের চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয় আমদানি করে। গত অর্থবছরের হিসেবে দেখা গেছে, দেশে ৬২ লাখ টন গম আমদানি হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/এমএইচ/কেএম)