কখনো আপস করিনি, বললেন অবসরে পাঠানো তথ্যসচিব

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১৪:১৯ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১৫:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চাকরিজীবনে নীতি-নৈতিকতার বাইরে গিয়ে কখনো কোনো আপস করেননি বলে দাবি করেছেন সদ্য অবসরে পাঠানো তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন। ‘জনস্বার্থে’ সরকার তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর পরদিন সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রতিক্রিয়া জানালেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের দশম ব্যাচের এ কর্মকর্তা।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মকবুল হোসেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কী কারণে তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে সেবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। মন্তব্য করেন, ‘নীতি-নৈতিকতার বাইরে গিয়ে জীবনে কোনো কাজ করিনি, কখনো আপস করিনি।’

২০২১ সালে ৩১ মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগ দেওয়া মকবুল হোসেনের স্বাভাবিক নিয়মে অবসরে যাওয়ার কথা ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর। তবে তার চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই এক প্রজ্ঞাপনে তাকে ‘জনস্বার্থে’ অবসরে পাঠায় সরকার।

রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে মকবুল হোসেনকে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে পাঠানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপরই কী কারণে তাকে কী কারণে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই অবসরে পাঠানো হলো তা নিয়ে কৌতূহল শুরু হয়।

সরকারি চাকরির ৪৫ ধারাতে বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বছর পূর্ণ হওয়ার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজন মনে করলে কোনো কারণ ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে অবসরে যাওয়া এ সচিব বলেন, তাকে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত সরকারের। এবং নিয়মের মধ্যেই সব হয়েছে।

এদিন মন্ত্রণালয়ে সচিবেকে অবসরে পাঠানোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্তর্নিহিত কী কারণ সেটি জানি না। কাল (রবিবার) দেখেছি। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলতে পারবে।’

তথ্য সচিব হওয়ার আগে মকবুল হোসেন যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে রেজিস্ট্রার, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়া এই কর্মকর্তা পড়াশুনা করেছেন কৃষি অর্থনীতিতে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বিষয়ে স্নাতক করার পর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ব্যবসা প্রশাসনে।

(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/কেআর/ডিএম)