কী কারণে বাধ্যতামূলক অবসর? কী বলছেন এসপি বাকী?

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৯:০০ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৯:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আর মাত্র সাড়ে চারমাস পর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি) মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকীর। তবে এর আগেই মঙ্গলবার পুলিশের এই কর্মকর্তাকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

হঠাৎ কেন বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হলো- এর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না পুলিশের এই কর্মকর্তা। গণমাধ্যমে বাকী বলেন, ‘হঠাৎ করে জানলাম আমাকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে কী কারণে অবসরে পাঠানো হলো আমি জানি না। অবসর দেওয়ার কারণ জানতে পারলে ভালো লাগত।’

একই দিন মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ছাড়া আরও দুই পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাদের মধ্যে একজন হলেন- মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী, অপরজন মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা।

এর আগে রবিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে একইভাবে অবসরে পাঠানো হয়। একইভাবে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুককে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছিল সরকার।

যা বললেন বাকী:

বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে পুলিশে যোগ দেন মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী। তিনি এসপি হিসেবে সিআইডিতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তার ব্যাচের একাধিক কর্মকর্তা অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের চাকরিকালে বাকী ‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) (সেবা) পেয়েছেন।

এই পুলিশ সুপার বলেন, ‘সরকারি চাকরি করলে রাজনীতি করা যায় না। আমি আমার চাকরি করেছি। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। প্রায় সাড়ে চার মাস বাকি থাকতেই আমাকে অবসরে পাঠানো হলো। আমি আনঅফিশিয়ালি আদেশ সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু এর কারণ সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়নি।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/এসএস/এফএ)