বাবুকে বিয়ে করে নোয়াখালীতে মিশরের ডালিয়া

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২২, ২১:৫৪ | প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর ২০২২, ১৮:৪৫

চাকরির সুবাদে ২০১২ সালে মিশরে পাড়ি জমান নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের গোলাম মাওলার ছেলে গোলাম সারোয়ার বাবু। পাশাপাশি বাসা থাকায় ২০১৭ সালে তাদের মধ্যে পরিচয় ও ভাবের আদান-প্রদান হয়। এর পর থেকে মধুরলগনে গড়ায় তাদের সম্পর্ক, পরিবারের মতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয় এ জুটি। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত তাদের একসাথে পথ চলা।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হয়ে বাংলাদেশের নিজ বাড়িতে আসেন বাবু। সঙ্গে করে নিয়ে আসেন মিশরী স্ত্রী ডালিয়া দিয়াতকে। মিশরী ডালিয়াকে নিয়ে বাবু বাড়িতে এসেছেন এমন খবরে শুক্রবার সকাল থেকে তার বাড়িতে ভিড় করতে থাকে লোকজন। ডালিয়াকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন বাবুর বাড়িতে।

বাবুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বাড়ির এক চাচার সহযোগিতায় ২০১২ সালে মিশর যান গোলাম সারোয়ার বাবু। পরবর্তীতে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন বাবু। চাকরির করাকালিন ডালিয়াদের পাশের বাসায় থাকতেন বাবু। পাশাপাশি বাসায় হওয়ায় প্রথমে ডালিয়ার ভাইয়ের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়, এর সূত্রধরে ডালিয়াদের বাসায় আসা যাওয়া ছিলো বাবুর। আসা যাওয়ার মধ্যে ডালিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। ২০১৮ সালে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ডালিয়ার পরিবারকে জানালে প্রথমে তারা রাজি ছিলেন না, রাজি ছিলো না বাবুর পরিবারও। কিন্তু বাবু-ডালিয়ার অথৈই প্রেমের কাছে হার মানতে রাজি হন দুই পরিবার। ২০১৯ সালে তাদের মধ্যে আংটি বদল ও ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের ২০তারিখে তাদের বিয়ে হয়। গত বছর তাদের কোল জুড়ে এক সন্তান এলো পরে মারা যায় শিশুটি।

বাবু বলেন, ডালিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক ও বিয়ের পর এ প্রথম দেশে আসা তাদের। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন তারা। বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে খুঁশি শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলেও জানান তিনি।

কিছুটা বাংলা বলতে পারা ডালিয়া বলেন, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লাগে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি ভালোবাসেন। আগামী দুই মাস এখানে থেকে আবার মিশর যাবেন তারা, এরপর থেকে সুযোগ ফেলেই দেশে আসবেন বলেও জানান এ মিশরী বধূ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান মিরন বলেন, দেশে আসার পর থেকে বাবুদের বাড়িতে অনেক ধরনের লোকের ভিড় লেগে আছে। এতে করে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে তার জন্য আমরা পরিবারটির দেখাশোনা করছি। সবসময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব বলে পরিবারটির পাশে থাকতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন এ মেম্বার।

(ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :